বৃষ্টির অজুহাতে আবারো মাছ, মুরগি, মশলা আর ডিমের দামে আগুন!

fish-30525.jpg

ছবি: সংগৃহীত

নগর প্রতিবেদক ।।

বাজারে কোনো ধরনের পণ্যের ঘাটতি নেই। বৃষ্টির অজুহাতে মূল্যবৃদ্ধির চাপ পড়েছে নিত্যপণ্যে। সরবরাহ কমার কথা বললেও, ছুটির দিনেও রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ছিল না ক্রেতাদের ভিড়। এই পরিস্থিতিকে পুঁজি করে অধিকাংশ পণ্যে বাড়তি দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।

৩০ মে শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, রামপুরা ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১০-১৫ টাকা, ডিম ডজনপ্রতি ৫ টাকা, মাছের দাম কেজিপ্রতি ২০-৬০ টাকা এবং দারুচিনি কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যদিও কিছুটা কমেছে চালের দাম। স্থিতিশীল রয়েছে সবজির বাজার।

বাজারভেদে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকা। সঙ্গে প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬২০-৭০০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৬০০-৬৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা।

নয়াবাজারের মুরগি বিক্রেতা বলেন, পাইকারি আড়ৎ কাপ্তান বাজারে মুরগির সরবরাহ কমেছে। পাইকাররা বলছেন খামার থেকে সরবরাহ কমেছে। পাশাপাশি বৃষ্টিতে পরিবহন খরচ বাড়ায় দাম কিছুটা বেশি। এজন্য আমাদের বেশি দাম দিয়ে এনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

মাছের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ বিক্রেতাদের। কাওরান বাজারের মাছ বিক্রেতা জানান, আড়তে মাছ কম আসছে, তাই দাম বেড়েছে। রুই, কাতল, পাবদা থেকে শুরু করে চিংড়ি, টেংরা, শিং ও কৈ, সব ধরনের মাছেই দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। আবহাওয়া ভালো হলে সরবরাহ বাড়বে। তখন দাম কিছুটা কমতে পারে।

এদিকে খুচরা বাজারে চালের দাম কিছুটা কমলেও ডালের বাজার চড়া। মানভেদে প্রতি কেজি মসুর ডাল এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৩০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৯৫-১১০ টাকা। ঈদ সামনে রেখে মসলার বাজারেও প্রভাব পড়েছে। দারুচিনি এখন বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫৮০ টাকা, যা আগে ছিল ৫৫০ টাকা। এলাচি পাঁচ হাজার টাকা কেজি।

নিত্যপণ্যের সরবরাহে বড় ধরনের সংকট না থাকলেও বৈরী আবহাওয়া এবং ঈদকে কেন্দ্র করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। এতে চাপে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top