ব্যবসা বাণিজ্য ডেস্ক ।।
২০২০ সালে ম্যাচুরিটি পাওয়া বীমার দাবীর টাকা না পেয়ে আশা ছেড়ে দিয়ে হতাশ ছিলেন বীমাকারী নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরী। গত দুই বছর বীমার টাকা পাচ্ছিলেন না নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরী। এক পর্যায়ে তিনি টাকা পাওয়ার আশা ছেড়ে দেন। ১২ জুন রবিবার দুপুরে বীমার প্রধান কার্যালয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব ফখরুল ইসলাম- এর সাথে সাক্ষাত করে দলিল জমা দেয়ার দুই ঘন্টার মধ্যে বীমার টাকা পরিশোধ করা হয়। এই এক অনন্য নজির স্থাপন করলো পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি দলিল জমা দেয়ার দুই ঘন্টার মধ্যে মেয়াদ পূর্ণ হওয়া একক বীমার পূর্ণ টাকা প্রদান করা হয়েছে গ্রাহককে।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৭নং মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরী ২০১০ সালে এ বীমাটি করেন।
তবে অফিস সূত্রে জানা গেছে কোম্পানীর মালিকানা পরিবর্তন হওয়াতে এমন জটিলতা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১৪ মে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের কৃতি সন্তান মেট্রো হোমস এর কর্ণধার আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম। তিনি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন করে আশার সঞ্চার হয় বীমাকারী শাহীন চৌধুরীর।
আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম-ই বাংলাদেশে ইসলামী বীমার প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা। তার উদ্যোগই ২০০১ সালে ইসলামী বীমা নিয়ে আসে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স। এর আগে আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স নির্বাহী চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।