নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি
নোয়াখালী প্রতিনিধি ।।
মারামারি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ছয় শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আর তিনজন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। ৪ ডিসেম্বর বুধবার রাত সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই ১২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে রেজিস্ট্রার শাখা থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শাখা থেকে জারি করা চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাসনালয়ের পাশে দুই দল শিক্ষার্থীর মধ্যে বিশৃঙ্খলা ও মারামারির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের গত ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মারামারির ঘটনায় অভিযুক্ত ১২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পৃথক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ওই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরিসংখ্যান বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তৌহিদ মাহমুদ ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের জয় প্রকাশ বর্মনকে এক বছরের জন্য এবং শিক্ষাপ্রশাসন বিভাগের আজাহারুল ইসলামকে ছয় মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ (বিএমএস) বিভাগের মো. জিল্লুর রহমান, অসীম সরকার ও নুরুল আফসারকে সতর্ক করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া আইন বিভাগের ফরহাদ বিন আলম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মারওয়া নুবান, বিএমএস বিভাগের মাহাদী হাসান খান ও হাসনাত নাঈম, কম্পিউটারবিজ্ঞান ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল (সিএসটিই) বিভাগের হাসিবুল ইসলাম ও আইন বিভাগের রাশেদ মোশারফকে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী সাত দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন মিডিয়াকে বলেন, মারামারি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ওই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।