উপজেলা নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হলো সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর আপন ছোট ভাই শাহাদাতের

2-pp-upz.png

জহিরুল হক জহির ।।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ২৯ মে বুধবার ষষ্ট উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত  নির্বাচনে তার ফলাফল বিশ্লেষণে বিষয়টি জানা যায়।

জামানত ফিরে পেতে কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১১ হাজার ২৮৪টি ভোট পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৬১০ ভোট। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ২০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিযোগী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল পেয়েছেন ১৮ হাজার ৮৭৮ ভোট।

মন্ত্রীর আপন ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন টেলিফোন প্রতীকে ৪ হাজার ৬১০ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। সর্বশেষ মোটরসাইকেল প্রতীকে ওমর আলীও ১ হাজার ৪৮২ ভোট পেয়ে জামানত হারালেন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী বলেন, জামানত হারানোয় শাহাদাত হোসেন ও ওমর আলীর চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে রাখা ১ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।

উপজেলা নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়।

নির্বাচনে কোন নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পায়, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এই বিধি অনুযায়ী শাহাদাত হোসেনকে জামানত রক্ষার জন্য ১১ হাজার ২৮৪ ভোট পাওয়ার দরকার ছিলো। তা না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া অর্থ খোয়াতে হচ্ছে তাদের দুজনকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top