নোয়াখালী ৫ (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট) আসনের উন্নয়নে ২১ দফা প্রস্তাবনা নিয়ে মাঠে আছেন জাসদের প্রার্থী সাংবাদিক মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক

Poster-N.jpg

আমি প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলে যেসব বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাই

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদ আসন ২৭২ তথা নোয়াখালী ৫ (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট) আসনে সাংবাদিক মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ-এর মশাল প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আমি ছাত্রজীবন থেকেই সমাজ পরিবর্তনে প্রগতির চাকাকে সামনের দিকে ঘুরিয়ে দিতে কাজ শুরু করেন সাংবাদিক মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক। মাটি ও মানুষের প্রতি ভালোবাসায় উদ্বুদ্ব হয়ে তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানুষের জন্য নিজের সামর্থ অনুযায়ী দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি কোম্পানীগঞ্জের মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি এতদ এলাকারই সন্তান। কারো ভাই, কারো বন্ধু, কারো শুভাকাঙ্খী।

সাংবাদিক মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক মূলত রাজনীতির পাশাপাশি একজন সংবাদকর্মী ও সামাজিক সংগঠক। তিনি জীবনের প্রতিটি বাঁকে নানাভাবে সামাজিক হক আদায় করতে চেষ্টা করেছেন।

সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে আমাদের সাথে সাংবাদিক মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক এর কথা হয়। তিনি আমাদের জানালেন,আরো বৃহত্তর পরিসরে মানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি বিশ্বাস করি, একজন সংসদ সদস্য এলাকাপ্রীতি নিয়ে আন্তরিক হলে পুরো এলাকার মানুষের ভাগ্য বদলিয়ে দিতে পারে। সেজন্য আমি নির্বাচিত হলে, আমার রয়েছে কিছু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার।

সাংবাদিক মোহাম্মদ মকছুদের রহমান মানিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিসমূহঃ
১. আমার নির্বাচনী এলাকা সমুদ্রস্নাত বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী হওয়ার সুবাদে আমাদের গণমানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার অনেক বেশি সুযোগ আছে। এখানে শুধু কোম্পানীগঞ্জ বা কবিরহাট উপজেলা নয় আশপাশের জেলার কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করে জনজীবন পাল্টিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে একটি সমুদ্র বন্দর ও ইপিজেড করার উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

২. আমাদের নোয়াখালী-৫ নির্বাচনী এলাকা থেকে উত্তোলিত প্রাকৃতিক গ্যাস অত্র এলাকাবাসীর প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ এবং এই গ্যাস ব্যবহার করে অত্র এলাকায় একটি বিদ্যুৎ স্টেশন নির্মাণ করে এতদ অঞ্চলে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহসহ কলকারখানা স্থাপনের প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

৩. নোয়াখালী-৫ আসনটি বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল বিধায় জলোচছ¡াস, ঘূর্ণিঝড়, সুনামি ও ভাঙ্গন প্রবণ। ফলে, এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়াতে উপকূলীয় এলাকায় প্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ এবং বাঁধের ভিতরে ও বাইরে ব্যপক বনায়নের উদ্যোগ নেবো।

৪. প্রায়শই প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত আমাদের বিশাল চরাঞ্চল ও উপকুলীয় এলাকার মানুষের নাগরিক স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিত করতে একটি উন্নতমানের হাসপাতাল, একটি নার্সিং কলেজ, উপকূলে রেড ক্রিসেন্ট-এর শাখা এবং নদী শাসনে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেবো।

৫. নদীমাতৃক বাংলাদেশের সকল সুবিধা আমাদের রয়েছে। আমাদের মেঘনা, ডাকাতিয়া, ছোট ফেনী ও বামনী নদীর সুবিধা নিয়ে আমাদের কৃষিখাত, নৌবাণিজ্য ও মৎস্যখাতকে আরও অগ্রসর করার উদ্যোগ নেবো। এর জন্য প্রয়োজনীয় আঞ্চলিক উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার বন্দোবস্ত করবো।

৬. কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার সিএস খালগুলো উদ্ধার করে পানির প্রাকৃতিক প্রবাহ নিশ্চিত করে মাছের অবাধ বিচরণ, কৃষিখাতে আধুনিক প্রযুক্তির সেচব্যবস্থা সংযোজন ও অত্র এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের উদ্যোগ নেবো।

৭. আমাদের এলাকার একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ভূমিদস্যু, জলদস্যু এবং ব্যক্তি বা গোষ্ঠির প্রশ্রয়ে লালিত বিভিন্ন স্থলবাহিনী, যারা প্রায়শই এই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে এলাকাবাসীর জন্য হুমকির সৃষ্টি করে। এদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে এই এলাকায় নোয়াখালী উপকূল অঞ্চলকে টার্গেট করে বিশেষ করে কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলে র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের ইউনিট/অফিস/ঘাটিঁ স্থাপনের উদ্যোগ নেবো।

৮. কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলাকে মাদকমুক্ত, ইভটিজিংমুক্ত এবং কিশোর গ্যাংমুক্ত করে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

৯. শতবর্ষের ঐতিহ্যে নাগরিকেরা থানা-পুলিশ-আদালতের বাইরে ছোটোছোটো পারিবারিক বা সামাজিক বিবাদ নিষ্পত্তিতে যে সালিশ ব্যবস্থা ব্যববহার করে আসছে, তা আজ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে সালিশ বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই সালিশ প্রথাকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত করে পারিবারিক ও সামাজিক সম্প্রীতি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেবো।

১০. কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার দুইটি পৌরসভা ও নোয়াখালী-৫ এলাকার বৃহৎ হাট-বাজারসমূহের সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে সুয়্যারেজের অপরিষ্কার পানি সরাসরি খালে-বিলে বা ফসলি জমিতে না সঞ্চালন করে পানি পরিশোধন প্ল্যান্টের মাধ্যমে পরিশোধন করে নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেবো।

১১. পর্যায়ক্রমে কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নকে শতভাগ স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশনের আওতায় নিয়ে আসবো।

১২. দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনায় আমার নির্বাচনী এলাকায় একাধিক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও একটি পলিটেকনিক কলেজ স্থাপন করে দেশে-বিদেশে দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেবো।

১৩. নোয়াখালী-৫ নির্বাচনী আসনের কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জের যেকোনো সুবিধাজনক স্থানে একটি ল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেবো।

১৪. অত্র এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈতিক ও মানবিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবো।

১৫. পর্যায়ক্রমে কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নকে নিরক্ষরমুক্ত এবং প্রতিটি পরিবারকে কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

১৬. নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে, শিশু-কিশোরদের সুস্থ্য শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ও স্বাস্থ্যপ্রেমীদের শরীরচর্চার জন্য প্রত্যেক পৌরসভায় একটি নান্দনিক শিশুপার্ক, সকলের জন্য উন্মুক্ত একটি পার্ক এবং প্রতি ইউনিয়নে উম্মুক্ত খেলার মাঠ স্থাপনের উদ্যোগ নেবো।

১৭. ইউনিয়ন ভিত্তিক কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার অনাবাদি কৃষিজমি সমন্বিত করে নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সমবায় পদ্ধতিতে সমন্বিত কৃষিখামার গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

১৮. কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার দুই পৌরসভায় সার্বিক নাগরিক সুবিধা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ দুটি বহুতল পরিকল্পিত আবাসিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেবো।

১৯. কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার ছাত্র-ছাত্রীসহ নাগরিকদের চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনে প্রায়শই ঢাকায় আসতে হয়। কিন্তু ঢাকায় এসে অনেকেই সুলভ অস্থায়ী আবাসন সমস্যায় পড়ে। এই সমস্যা নিরসনে রাজধানী ঢাকার বুকে কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার নাগরিকদের জন্য একটি আবাসিক ডর্মিটরি স্থাপন করার উদ্যোগ নেবো।

২০. নোয়াখালী-৫ নির্বাচনী আসনের চরাঞ্চলে সাগরের তীরে সকল সুবিধাসহ পর্যটনমুখী একটি রিসোর্ট তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

২১. প্রতি ৬ মাস অন্তর আমি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে, উপরোক্ত প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্বন্ধে নোয়াখালী-৫ আসনের নাগরিকদের অবহিত করবো।

প্রিয় ভোটারগণ, আমাদের মনে রাখতে হবে শুধুমাত্র পুল-কালভার্ট, রাস্তাঘাট বা স্কুল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে একটি এলাকার সামগ্রিক সমাজ ও মানবজীবন উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। এধরনের অবকাঠামোর উন্নয়ন স্থানীয় সরকার ও সরকারের প্রশাসনিক সেক্টরের চলমান প্রক্রিয়া মাত্র। এগুলো যে কেউ সংসদ সদস্য হলেই হবে।

আমাদের সত্যিকার সমস্যা সমাধানে, বেকারত্বের সমাধান ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরিতে আমাদেরকে এমন সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে হবে যিনি সার্বক্ষণিক এলাকার সার্বিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করবেন। যিনি এলাকার ও গণমানুষের জীবনমানের উন্নয়নে মনোনিবেশ করবেন। মাসে অন্তত একবার দুই উপজেলায় উন্নয়ন সভা করে জনগণের সুবিধা অসুবিধার খবর নিবেন।

এখন সিদ্ধান্ত আপনার, জাতীয় সংসদের জন্য কেমন প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। আঞ্চলিক উন্নয়নে অঞ্চল প্রেমী এলাকার ভাগ্য পরিবর্তনে ক্রিয়েটিভ সুদূর প্রসারী প্রতিনিধি নাকি হাতের নাগালের বাহিরের কাউকে আপনার প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।

মনে রাখবেন ভোট আপনার পবিত্র আমানত। আপনি যে কাউকে দিতে পারেন। আমার প্রতিশ্রুতির বিবেচনায় আমি আপনাদের সমর্থন আশা করি। আল্লাহপাক কখনো আমাকে সুযোগ দিলে আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব শতভাগ সততার সাথে পালন করবো।

তার দাবি  তার প্রদত্ত প্রতিশ্রুতিগুলোর মাঝে যদি আপনার সমস্যাও স্থান পায়, তাহলে তার নির্বাচনী প্রতীক মশাল মার্কায় একটি ভোট দিয়ে তাকে যেন জয়যুক্ত করেন। তিনি বলেন আসুন একটি শোষণ-বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও দেশ গঠনে এগিয়ে আসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top