জহিরুল হক জহির ।।
নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নে জায়গা-জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে কৃষক মো. খোকন মিয়ার বসত ঘরে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার ( ৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার চর শুল্লুকিয়া গ্রামের পাটোয়ারী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কৃষক মো. খোকন মিয়া চর শুল্লুকিয়া গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে।
ভুক্তভোগী কৃষক খোকন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের প্রতিবেশী নুর মোহাম্মদ ও তার ছেলেদের সঙ্গে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে খোকনের। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকবার নুর মোহাম্মদ ও তার ছেলে মামুন হোসেন, সজিব ও সাকিব খোকনের পরিবারকে হামলা-মামলার হুমকি দেয়।
তিনি বলেন,গত মঙ্গলবার বিকালে আমি আমার পালিত বড় জাতের গরু ১ লাখ ৫ হাজার টাকা বিক্রি করে বসত ঘরে রেখে ঘুমিয়ে পড়ি। গরু বিক্রির টাকা বসত ঘরে রাখা আছে টের পেয়ে নুর মোহাম্মদ মিয়া তার ছেলেদের দিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী ডাকাত সামছুদ্দিন স্বপনসহ একাধিক ডাকাত ভাড়া করে রাত দেড়টার দিকে আমার বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। এসময় বাক্স ভেঙ্গে গরু বিক্রি নগদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা, গৃহবধূর শরীর থেকে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ঘরের লোকজনের সঙ্গে হামলাকারীদের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে এগিয়ে আসতে চাইলে কয়েকটি ককটেল পাটিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. মামুন বলেন, খোকন মিয়া আমার চাচা হয়। তাদের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। মঙ্গলবার রাতে তিনি লোকজন নিয়ে আমাদের জমিতে থাকা ঘরের মধ্যে আমার স্ত্রীকে মারধর করে মালামালসহ পুরো ঘর তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা নিজেদের ঘরে ভাংচুর করে আমাদেরকে পাষানোর জন্য থানায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি ডাকাতির ঘটনা ঠিক নয়। জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা তাদের পরিচিত লোকজন। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।