ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বিকল্প হিসেবে ফখরুল ইসলামকে আস্তায় নিয়েছে বিএনপি মাঠকর্মীরা

fff.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

নোয়াখালীর ভিআইপি আসনখ্যাত নোয়াখালী-৫ আসনে একজন ভিভিআইপি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এর মৃত্যুর পর এই আসনের বিএনপি নেতৃত্ব শূণ্যতায় অবিভাবকহীন হয়ে পড়ে। বিএনপি মাঠকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ে। বিএনপির সৌভাগ্য ছিলো ঠিক সময়ে সরকারী দলের চরম অস্থিরতার কারনে মাঠ কর্মীরা দলছুট হয়নি। বিএনপির কিংকর্তব্যবিমুট কর্মীদের সামনে অনেকটা দেবদূতের মতো দলের হাল ধরতে আসেন বিএনপির দলীয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ফখরুল ইসলাম।

দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাহিরে থাকা টুটাপাটা বিএনপির জন্য আশির্বাদ হয়ে উঠেন ফখরুল ইসলাম। বিএনপি ও বিএনপির সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যখন মামলা হামলায় জর্জরিত হয়ে কোর্টের বারিন্দায় ঘুরপাক খাচ্ছে। অর্থ সংকটে হাজিরাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনেকেই কারাবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়ে পড়েছেন। মাঠ রাজনীতিতে অভিভাবক শূন্যতায় দলীয় প্রোগ্রামতো দুরের কথা মামলা থেকে ও পেটপিঠ বাঁচানো মুশকিল হয়ে পড়েছে।

ফখরুল ইসলাম কোম্পানীগঞ্জ বিএনপির নানা দূর্যোগ সময়ে আশির্বাদ হয়ে মাঠে এসেছেন। ২০০১ সাল ও ২০০৮ সালে বিএনপি কে মাঠে ধরে রেখেছেন এই ফখরুল ইসলাম। এরপর নানামুখী জটিলতার পরও ২০২১ সালে মওদুদ আহমদের মৃত্যুর পর ফখরুল ইসলামের প্রদত্ত টাকায়-ই মওদুদ আহমদের জানাজার কাজ শেষ হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপিকে মাঠে নিয়ে আসেন এই ফখরুল ইসলাম।

বিএনপির মাঠ নেতাদের কাছে ফখরুল ইসলাম যখন আবারো জায়গা করে নিচ্ছে ঠিক তখনই বিএনপির আওয়ামী আশির্বাদপুষ্ট চক্রটি ফখরুল ইসলাম কে ঠেকাতে হাসনা মওদুদ (ফরিদপুরী) কে মাঠে নিয়ে আসে। জাতীয় পার্টির সাবেক অবৈধ এই এমপি স্বামীর অংশীদারিত্ব আদায়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে।

মওদুদ আহমদের মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে বিএনপি যখন অভিভাবক শূন্যতায় অর্থ অভাবে স্থবিরতায় নিমজ্জিত তখনো বিএনপির পাশে দাঁড়ায়নি এই ফরিদপুরী। তখন বিএনপির পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপির নেতা সাবেক মেধাবী ছাত্রনেতা মেট্রো গ্রুপের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম। বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভরসার আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠেন তিনি।

ফখরুল ইসলাম শুরু থেকে আজ পর্যন্ত বিএনপিতে কখনো নিজের গ্রুপ বানাতে চাননি। চেয়েছেন দলকে প্রসস্ত করতে। তার নিরলস আন্তরিকতা আর ভালোবাসা দিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে পাশে দাড়িয়ে হয়ে উঠছেন নোয়াখালী ৫ আসনের বিএনপির দুঃসময়ের ঠিকানা।

বিএনপির অর্থযোগানদাতা হিসেবে অর্ধশত মামলা নিয়েও তিনি দলের জেলে থাকা নেতাকর্মীদের জামিনের ব্যবস্থা করছেন। নেতাদের পরিবারের খোঁজখবর রেখেছেন। মামলা ও অর্থ সংকটে ঝিমিয়ে পড়া বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা মোতাবেক জেলা বিএনপি নেতাদের পরামর্শে নোয়াখালী ৫ আসনের রাজনীতিকে গতিশীল করার লক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য ফখরুল ইসলাম আগামীর বিএনপির ভবিষ্যৎ হিসেবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন।মওদুদ আহমদের শূন্যতার স্থলে স্থলাভিষিক্ত হয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে হয়ে উঠছেন জননেতা এবং সর্বস্তরের জনতার কাছে জনপ্রিয় নেতায় আবির্ভূত হয়েছেন।

তবে এই সফলতার পিছনে দলীয় নেতাকর্মীদের অবদানের কথা অস্বীকার করেননি মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন বিএনপির এ নেতা।
বিশেষ করে দলীয় নেতাকর্মীদের পরিশ্রম ও ত্যাগের কথা কখনো ভুলতে পারবেননা বলে জানান তিনি। নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও সমর্থন করে যেভাবে তাকে সাহস যুগিয়েছে তাতে মুগ্ধতা প্রকাশ করতেও কার্পণ্য করেননি ফখরুল ইসলাম।

নোয়াখালী-৫ আসনের রাজনীতি বিষয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, আমি আমার সর্বোচ্চ দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি দলকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে নিতে। এক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাসহ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রতি।
তার মতে তাদের অকুন্ঠ সমর্থন ও সহযোগীতায় তিনি দলের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top