ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে নির্বাহী সদস্য পদে নজর পদ প্রত্যাশীদের

al-22.jpg

মিয়া মাকসুদ ।।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব পদে নেতাদের নাম ঘোষণা হয়ে গেছে। বড় কোনো পরিবর্তন না থাকায় আগের কমিটির নেতাদের একাংশ আছে স্বস্তিতে। কেউ কেউ দীর্ঘদিন একই পদে থাকার পরও পদোন্নতি না হওয়ায় কিছুটা আশাহত। পদপ্রত্যাশী যাঁরা কমিটিতে স্থান পাননি, তাঁদের চোখ এখন ফাঁকা পদের দিকে। এখন যে ৩টি পদ ফাঁকা আছে, তার মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর ২টি, সম্পাদকমণ্ডলীর ২টি ও নির্বাহী সংসদের ২৮টি সদস্য পদ রয়েছে। সম্পাদকমণ্ডলীর পদ ২টি হচছে শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আর উপপ্রচার সম্পাদক ।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে নতুন কমিটির প্রথম সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠক। সেখানে আলোচনার পর বাকি পদগুলো পূরণ করা হবে।আওয়ামী লীগের কমিটিতে মোট পদ ৮১টি। নাম ঘোষিত হয়েছে ৪৯ পদে। পদ ফাঁকা রয়েছে ৩২টি।

গত ২৪ ডিসেম্বর শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও নিজ পদে বহাল আছেন। ওই দিন ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৮টি পদ ঘোষণা করা হয়। বাকি ৩৩ পদ ফাঁকা রাখা হয়। একটি পদে মাশরাফির অন্তর্ভুক্তিতে আরও ৩২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। এর মধ্যে নির্বাহী সদস্যের পদই ২৮টি। এর বাইরে উপপ্রচার সম্পাদক, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও সভাপতিমণ্ডলীর দুটি পদ ফাঁকা রয়েছে।

ক্রীড়া সম্পাদক পদটি গত সম্মেলনের পরও বেশ কিছুদিন ফাঁকা ছিল। পরে হারুনুর রশীদকে দেওয়া হয়। এবার হারুনুর রশীদকে বাদ দেয়া হয়। তার স্থলে  পদে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে আসা হয়েছে। আর উপপ্রচার সম্পাদক পদ থেকে পদোন্নতি হয়ে আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকের পদ।

নির্বাহী সদস্যের পদটি কেন্দ্রীয় কমিটিতে ‘প্রবেশপথ’ বলা হয়ে থাকে। এই পদের জন্য সবচেয়ে বেশি আগ্রহী থাকেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদেরও লক্ষ্য থাকে এই পদে। এ ছাড়া প্রয়াত নেতাদের ছেলেদের বিবেচনা করা হয়।

এবার প্রয়াত নেতাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিলের কথা আলোচনায় আছে। তিনি বাবার আসনে সংসদ সদস্যও। তিনি জাতীয় চার নেতার পরিবারের সন্তান। জাতীয় চার নেতার পরিবারের সদস্য হিসেবে প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বোন সৈয়দা জাকিয়া নূরের নামও আলোচনায় আছে। সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের ছেলে নিজাম উদ্দিন জলিলের নামও বলছেন কেউ কেউ। এ ছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক শ খানেক নেতা বিভিন্ন উপকমিটিতে ছিলেন, তাঁরাও মূল দলে আসতে সক্রিয়। তবে কারও হতাশ বা বেশি আনন্দিত হওয়ার সুযোগ নেই। ফাঁকা পদে যুবলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে হয়তো বিবেচনা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top