নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে টানা ১৮ দিনের সফর শেষে গত সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে ফিরে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সফর নিয় গত বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সব সভায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান যেমন আরও সুদৃঢ় করেছে, তেমনি বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করবে বলে আমি আশাবাদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের জন্য আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং অর্জিত সাফল্যের কথা তুলে ধরে অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু কার্যক্রমের প্রসারের জন্য আমি বিশ্ব নেতাদেরকে আহ্বান জানাই।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেনপ্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সামগ্রিক বিবেচনায় এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সফল বলে আমি মনে করি। প্রধানমন্ত্রী প্রযুক্তির ব্যবহারে সবার ন্যায্য ও সমান সুযোগ সৃষ্টি এবং ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমার তো ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় পরিণত হয়েছি। এখন আমি বিদায় নেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দলের একজন কাউন্সিলরও যদি আমাকে না চায় তাহলে যেকোন সময় নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। আমি অবশ্যই চাই আওয়ামী লীগে নতুন নেতৃত্ব আসুক। নেতৃত্ব কাউন্সিলররা ঠিক করেন। কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্তটাই চূড়ান্ত।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে একটি কাউন্সিলর যদি বলে যে আমাকে চায় না সেদিন থেকে থাকবো না। আমার অবর্তমানে যখন আমাকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট করেছিল তখন থেকেই এই শর্ত মেনে যাচ্ছি।