স্বপ্ন যাত্রা । জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যই গণমানুষের মুক্তি আনবে : ফখরুল ইসলাম

281188814_679956773434878_7307174790361936365_n.jpg

মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। ফাইল ছবি

সীমান্ত চৌধুরী ।।

মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম নোয়াখালী-৫ তথা কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার অতি পরিচিত এবং জনদরদী একজন মানুষের নাম।
এছাড়াও বাংলাদেশের ব্যাংক, বীমা, হাউজিং ও স্বাস্থ্যখাতসহ দেশের কর্পোরেট বিজনিসে মেধাবী একজন মানুষ হিসেবে বেশ সমাদৃত ব্যবসায়ী।
যে মানুষটি ছাত্রজীবন শেষ করে বেসরকারী ছোট একটি চাকুরীকে পুজি করে রাজধানীতে রাজ করতে মরিয়া হয়ে দিনে ১৮/২০ ঘন্টা পরিশ্রম করেছেন। পরিশ্রমই সফলতার চাবি এটা ফখরুল সাহেব প্রমাণ করে দিয়েছেন।
ফখরুল ইসলাম ব্যবসায়ীক সফলতার পাওয়ার পর বিশেষ করে গত দুই যুগ নোয়াখালীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করেও শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মানবজীবন উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে আসছেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের হাত ধরে গণরাজনীতিতে ফখরুল সাহেবের অভিষেক। আর গণরাজনীতিতে পা দিয়ে মানুষের অভাব অনটন, দুঃখ-দূর্দশা, না পাওয়ার আবেদন গুলো প্রতিনিয়ত ফখরুল সাহেবকে অনবরত ভাবিয়ে তুলে।

ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাটবাসির গণসংবর্ধনায় জনাব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।
তাই মরহুম মওদুদ সাহেবের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ গুলো আন্জাম দাওয়ার জন্য জনাব তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দোয়া নিয়ে নোয়াখালী-৫ আসনের জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মানুষের প্রিয় ভাই ফখরুল ইসলাম সাহেব। সে লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে ২০০৪ সালের পর প্রতিটিদিন নিজ ভাবনায় স্থান দিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটকে।
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে ইসলামী বীমার স্বপ্নদ্রষ্টা ফখরুল ইসলাম দেশের শীর্ষস্থানীয় পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ফখরুল সাহেবের রাজনীতি, ব্যবসা এবং বীমা খাতের উন্নয়ন বিষয়ে কথা হয় নোয়াখালী মেইল পত্রিকার সাথে। কথা পিঠে কথা চলাকালে ফখরুল সাহেব জানালেন তার ভাবনার আগামীর স্বপ্নের কথা। তিনি নোয়াখালী মেইলকে বলেন, আমাদেরকে নিজের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের সমাজ রাষ্ট্রকেও এগিয়ে নিতে হবে। রাষ্ট্রের উন্নয়নে একজন সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব আছে। আমি মনে করি দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্য ও সমন্বিত উদ্যোগ রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিবে। তাই জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্য গড়ে তুলে সকল অন্যায় অবিচারকে রুখতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে সামাজিক রাজনৈতিক অপশক্তির বিরুদ্ধে। জাতীয়তাবাদী শক্তির এক্যই মানুষের মুিক্ত আনবে। তবেই বাংলাদেশ আগামী প্রজম্মের জন্য নিরাপদ হবে।
বাংলাদেশে ইসলামী বীমার প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা ফখরুল ইসলাম। ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স-এর উদ্যোক্তা পরিচালক ও সাবেক ইসি চেয়ারম্যান ছিলেন। আজকের ফারইস্ট ইন্স্যুরেন্স ভবনের নির্মাণ ফখরুল সাহেবেরই স্বপ্নের ফসল। পরে রাজনৈতিক বিবেচনায় ফারইস্ট ফখরুল সাহেবদের নিয়ন্ত্রণ হারায়। কিন্তু বীমা ক্ষেত্রে ফখরুল সাহেবদের অবদান দেশখ্যাত হয়ে পড়ে ফলে আজকে তিনি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম কে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ এর চেয়ারম্যান জনাব সাইফুল আলম (মাসুদ)। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক এমডি বিশিষ্ট ব্যাংকার ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান জনাব মাহাবুব উল আলম। এসময় উপস্থিত পরিচালকদের কাছ থেকে ফুলের তোড়া গ্রহণ করেন জনাব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।
নোয়াখালীর গর্ব ও কোম্পানীগঞ্জের কৃতি সন্তান জনাব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম গত ১৪ মে শনিবার বিকালে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের পরিচালকদের এক সভায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বাংলা মটরের পদ্মা ভবনে নোয়াখালী তথা কোম্পানীগঞ্জের অগণিত মানষের ভালোবাসার ফুলেল শুভেচ্ছা নিচ্ছেন ফখরুল ইসলাম।
দেশের বিশিষ্ট আবাসন ব্যবসায়ী জনাব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম একজন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতা ও নোয়াখালী-৫ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী। ফখরুল সাহেবের নেতৃত্বের বিকাশ ছাত্রজীবনেই। তারই ধারাবাহিকতায় ব্যবসায়ীক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রতিফলন রয়েছে।
দেশ বিদেশে নোয়াখালী তথা কোম্পানীগঞ্জের মানুষের ঐক্য সুদৃঢ় করতে অনবরত কাজ করছেন। ৯০-এর দশকের শুরুর দিকে ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জবাসীকে এক ছাতার তলে নিয়ে আসতে ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ যুবকল্যাণ সমিতিকে নিয়ে কাজ করেছেন। পরে কোম্পানীগঞ্জ ফোরাম-ঢাকা নামে কোম্পানীগঞ্জের সর্বস্তরের ঐক্য গড়ে তোলেন। কোম্পানীগঞ্জ ফোরাম-ঢাকার ব্যানারে ঢাকায় ও এলাকায় বহু দান-অনুদানসহ হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ান। এরপর নোয়াখালী ফোরাম, মেট্টো ফাউন্ডেশন ব্যানোরেও অনেক সামাজিক উন্নয়ন কাজ করেছেন। ফখরুল সাহেবের নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশসহ আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কোম্পানীগঞ্জ ফোরাম নামে অর্ধশতাধিক সামাজিক সংগঠন রয়েছে।
মানবদরদী সমাজসেবক জনাব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। এর আগে ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মনোনয়ন পত্র কিনেছিলেন নোয়াখালীর এই কৃতি সন্তান।


ফখরুল ইসলাম ২০১৬ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী এবং দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আলোকবর্তিকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। যা জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহানকে তারেক রহমান জানিয়েছিলেন এবং ফখরুল ইসলামকে নোয়াখালী-৫ আসনের বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে বলে দেন তারেক রহমান নিজেই।
তবে এর আগে ২০০১ সালের ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ-এর পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা এবং ২০০৮ সালে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ-এর নির্বাচনের মূল পরিচালক এবং অর্থের যোগানদাতা ছিলেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি তথা ৪ দলীয় জোটের মনোনয়ন পান ফখরুল ইসলাম। সে সময়ে ফখরুল সাহেবের উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র স্বয়ং ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদই জমা দেন। যাহা ছিলো একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।

কোম্পানীগঞ্জের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম সাহেবের পক্ষ থেকে নোয়াখালীর-৫ আসন তথা কোম্পানীগঞ্জ কবিরহাটের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করছেন।

তবে ২০১৬ সালে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের জীবদশায় ফখরুল ইসলাম বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে মাধ্যমে বিএনপিতে যোগদানের পর থেকে স্বয়ং মওদুদ আহমেদসহ কোম্পানীগঞ্জের স্থানীয় কিছু নেতা বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তারা সকলেই পরবর্তী স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে ফখরুল সাহেবকে হুমকি মনে করে আসছিলেন। তাদের অনেকেই নেমে পড়েন ফখরুলের সাথে মওদুদের দূরত্ব তৈরি করতে। কিছুটা সক্ষমও হন। এসব কুচক্রীমহল রাজনৈতিক অস্বস্তিতে ভোগে এবং ফখরুল ইসলাম-এর বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে। বিএনপির রাজনীতিতে ওরা সংখ্যায় নগন্য হলেও তারা জনাব ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে ভুল বুঝিয়ে এ বিষয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলো। জাতীয়তাবাদী দলের জন্য নোয়াখালী-৫ আসনে কাজ করার ফলে চক্রটির গত্রদাহের কারণ হয়ে উঠে। কিন্ত বিএনপি মাঠ পর্যায়ের অর্থের যোগানদাতা ফখরুল সাহেবের সরাসরি বিএনপিতে আসায় মাঠের নেতাকর্মীরা পুলকিত হয়, সাহসী হয়। তারা মনে করে কোম্পানীগঞ্জের গৌরব, বিশিষ্ট সমাজসেবক, গরীবের বন্ধু, ঢাকাস্থ মেট্রো গ্রুপ অব কোম্পানিজ এর চেয়ারম্যান ও কারানির্যাতিত জননেতা জনাব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হলে মাঠ রাজনীতি বেগমান হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব জাতীয় নেতা মির্জ ফখরুল ইসলামের সাথে জনাব ফখরুল ইসলাম। পাশে কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান ও রবকত উল্যাহ বুলু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকনসহ কোম্পানীগঞ্জের কৃতি সন্তান জনাব ফখরুল ইসলাম।

২০১৮ সালে ফখরুল ইসলাম দেশের বাহিরে অবস্থান করা শর্তেও ঢাকাস্থ বিএনপি ও কোম্পানীগঞ্জবাসী ফখরুল সাহেবের জন্য বিএনপির মনোনয়ন কিনেন। সে সময়ে মাঠ নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় ফখরুল ইসলামও আবেগ আপ্লুত হন। পরে তিনি মওদুদ আহমেদ ও মাঠ কর্মীদের সম্মানে তাদের ভালোবাসার ভালোবাসার জবাব দেন এইভাবে:
প্রিয় শুভাকাঙ্খীবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম।
আশা করছি পরম করুনাময় আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি আপনাদের ভালোবাসায় ধন্য। বিগত ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারীর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আমার জন্য আপনাদের ত্যাগ ও সমর্থন আমাকে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে অসংখ্য সাহস ও উৎসাহ যুগিয়েছে। আমি বর্তমানে আমার নিজের শারীরিক ও আমার মেয়ে ডা. শাহীন সুলতানা জলির চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে অবস্থান করছি। তারপরও আমার অবর্তমানে আপনারা আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৭২-নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে আমার নামে দলীয় মনোনয়নপত্র ক্রয় ও জমা দিয়েছেন। আমি আপনাদের এ নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনাদের প্রতি সম্মান রেখে জানাচ্ছি আমার নিজের অসুস্থ্যতা ও পারিবারিক সমস্যার কারণে আমি এবার আমার জমাকৃত মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি। তবে কথা দিচ্ছি আগামী দিনগুলোতে অতীতের মতো আপনাদেরকে সাথে নিয়ে সমাজের উন্নয়ন ও জনসেবা মূলক কাজ অব্যহত রাখবো। আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ। ইতি : আপনাদেরই মোহাাম্মদ ফখরুল ইসলাম।
অবশেষে গত বছরের শেষের দিকে নোয়াখালী জেলা বিএনপি কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতিকে গতিশীল করতে চলমান বিরোধ মীমাংশার লক্ষে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয়। এতে কোম্পানীগঞ্জের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রাণ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাকেও সম্মানিত মেম্বার করে। এই কমিটির মাধ্যমে ফখরুল ইসলাম স্থানীয় রাজনীতির বিএনপি কাঠমোতে প্রবেশ করেন।
ফলে মাঠের বিএনপির নেতারা মনে করছেন নোয়াখালী ৫ আসনে বিএনপির নেতৃত্ব শুন্যতা পূরণ হলো ফখরুল ইসলামের আনুষ্ঠানিক অংশ গ্রহণে। মাঠের নেতারা ধরেই নিয়েছেন ফখরুল সাহেবই হচ্ছেন এ শুন্য আসনের শুন্যতা পূরনে আগামীদিনের পরিপক্ব অভিবাবক? তাদের পচন্দের মানুষ জনাব ফখরুল ইসলাম। আবার কারো পচন্দ নাও হতে পারে তাই বলে কাউকে ছোট করে দেখেননি তিনি।
দলের নেতাদের অনেকের মতপার্থক্য থাকতেই পারে তাই বলে কারো ব্যক্তিগত স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে দলের কথা চিন্তা করে যোগ্যতা সম্পর্ন ব্যাক্তিকে বেচে নিন। যেন গনতন্ত্র পূর্নঃউদ্ধার আন্দোলনে দলের পাশে থেকে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারেন।
দলের মাঠ কর্মীরা ফখরুল ইসলাম বিরোধীদের অনুরোধ করেছেন ব্যক্তি স্বার্থে নয় দলের স্বার্থে চিন্তা করুন। দলকে এগিয়ে নিতে হলে এই মুহুর্তে বিএনপির কাজে অন্য অপসন নাই। তাই নিজের স্বার্থে বিরোধীতা নয়, আগে একজন ফখরুল ইসলাম হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলুন তার পর কারো বিষয়ে বাজে মন্তব্য করুন।
আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসন জয়লাভ করে এ আসনটি গনতন্ত্র পূর্নঃউদ্ধার আন্দোলনের জন্য গনতন্ত্রের বন্ধি জননী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক জনাব তারেক রহমান কে উপহার দিতে পারে।
কোম্পানীগঞ্জের মাঠ পর্যায়ের এক নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, আমরা মাঠের কর্মীরা যতটুকু জানতে পারলাম প্রয়াত নেতা মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাহেব এর সহধর্মিনী হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ আনুষ্ঠানিক ভাবে দলের কাছে এখনও নিজে কোন বক্তব্য রাখেননি। তিনি আদৌ মাঠরাজনিতি করবেন কিনা বা মাঠ রাজনিতিতে আসবেন কিনা, এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ বা কবিরহাট উপজেলার কোন সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ আলোচনা পর্যন্ত করেন নি। মওদুদ স্যারের মৃত্যুর পর মেডাম অনেকটা অসহায়ের মত ভেঙ্গে পড়েছেন স্বামী, ছেলে সন্তান কে হারিয়ে একমাত্র মেয়ে পাশে নেই সে তার স্বামীর সাথে বিদেশে বসবাস করে তাই মেড়াম এখনো কোন ডিসিশান নেন নি তিনি রাজনিতিতে আসবেন কিনা তার বর্তমান বয়স ৭৫ বছর, কিন্তু কিছু লোক বলে বেডাচ্ছেন মেডাম তাদের সাথে প্রতিদিন কথা বলে যে মেড়াম ৫ আসনের হাল দরবেন কিন্তু দুঃখের বিষয় এটা আজও কোন দায়িত্ববান উপজেলা নেতার মুখে শুনি নাই শুনতেছি কিছু আগাছা দালালদের মুখে, তবে এতটুকু বলতে পারি কেন্দ্র থেকে প্রতিক নিয়ে যিনি আসবেন তার সাথে কাজ করবো ‘১০০% । কারন আমি বিএনপি করি ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে পচন্দ করি তিনি হলেন জনাব ফখরুল ইসলাম সাহেব। দলের হাই কমান্ড যাকে দিবেন তার সাথে থাকবো ইনসাআল্লাহ্। আমি মনে করি জনাব ফখরুল ইসলাম এর মত যোগ্যতা সম্পর্ন লোকের খুব দরকার। দলের এ কঠিন সময়ে তিনি একমাত্র কোম্পানীগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক। তিনিই পারবেন দলকে শক্তিশালি করে আগামী আন্দোলন সংগ্রামে ও জাতীয় নির্বাচনে ৫ আসন কে পূর্নউদ্ধার করতে। তাই আসুন ব্যক্তিগত স্বার্থ না চিন্তা করে সবাই একসাথে কাজ করে বিএনপি কে সুসংগঠিত করে বেগম খালেদা জিয়া এবং জনাব তারেক রহমান সাহেব এর হাতকে শক্তিশালি করি।
এইভাবে মাঠের হাজারো নেতাকর্মী বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলামকে স্থানীয় রাজনীতিতে পেতে মরিয়া হয়ে আছেন। কেন্দ্র ও জেলাও চায় ফখরুল ইসলাম নোয়াখালী ৫ আসনের শূন্যতা পূরন করুক। ফলে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবং জেলা নেতাদের চাহিদায় ফখরুল সাহেব বিএনপির উপজেলা কমিটির সদস্য হয়ে বিএনপিকে সংগঠিত কারতে সম্মত হন।
ফখরুল ইসলাম মনে করেন মরহুম ব্যারিস্টার মওদদু আহমদ একজন তারকা রাজনীতিবিদ। তিনি এই আসনের ৫ বারের সংসদ সদস্য ছিলেন। নোয়াখালীর উন্নয়নে তার ছোঁয়া রয়েছে। মওদুদ আহমদ ও বিএনপি আমলের উন্নয়নকে কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে নোয়াখালী-৫ আসনকে আবারো উদ্ধার করতে হবে। ২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দুবাইতে এক জাঁকজমকপূর্ণ গণসংবর্ধনায় বিশিষ্ট এই বিএনপি নেতা আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম সমসাময়িক সময়ে ফখরুল ইসলাম-কে নিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সমর্থকদের মধ্যে চলমান শীতল বাকযুদ্ধের মধ্যে দুবাইতে এক বিশাল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদকে তারকা রাজনীতিবিদ বলে ভূয়সি প্রসংশা করে তার সুস্থ্যতা কামনায় উপস্থিত সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন এবং মোনাজাত পরিচালনা করেন ফখরুল ইসলাম ।
২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ স্টোডিয়াম সংলগ্ন হলরুমে কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসীদের দেয়া এক জাঁকজমকপূর্ণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলাকালীনে ব্যারিস্টার মওদুদ সাহেবের অসুস্থতার খবর পেয়ে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের আবাসন শিল্প প্রতিষ্ঠান মেট্রো গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম সংক্ষিপ্ত সফরে দুবাই পৌঁছালে সেখানকার প্রবাসীদের সংগঠন কোম্পানীগঞ্জ সোসাইটির উদ্যোগে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
পরে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের মৃত্যুর পরও তিনি সর্বাঙ্গিনভাবে মানসিক অর্থনৈতিকভাবে সরাসরি পাশে ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ বিএনপির।
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার প্রায় সকল ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিক্ষার মান উন্নয়নে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মানবিক নেতৃত্ব ফখরুল ইসলামের অবদান রয়েছে। তিনি অত্র এলাকার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য। কোম্পানীগঞ্জ মডেল স্কুল কেজি ও মুছাপুরের শরাফতিয়া মাদ্রাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
অতি সম্প্রতি চর-কচ্চপিয়ায় একজন মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি দান করলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি মেট্রো গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিঃ এর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জনাব আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম।
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫নং চরফকিরা ইউনিয়নের চর-কচ্চপিয়ার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এ.এস.আই উচ্চ বিদ্যালয়কে তিনি ২৭ শতাংশ জমি দান করেন। জানা গেছে বিদ্যালয়টির এমপিও ভূক্তির লক্ষ্যে তিনি এ জমি দান করেছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফখরুল ইসলামের এ মহৎ কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয়রা।
এছাড়াও ফখরুল ইসলাম বসুরহাট কেজি স্কুল, মুছাপুর শরাফতিয়া মাদ্রাসার অন্যতম ্প্রতিষ্ঠাতা এবং চরফকিরার কবি জসীম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়, ওটারহাট উচ্চ বিদ্যালয়, মুছাপুর হাই স্কুল, বসুরহাট ইসলামীয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, পেশকাহাট উচ্চ বিদ্যালয়সহ কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ শিক্ষার মান উন্নয়নে সহযোগিতা করেছেন।
চৌকস রাজনীতিবিদ ফখরুল ইসলাম ২০০১ সালের নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপি তথা ব্যারিস্টার মওদুদের বিশাল বিজয়ে ফখরুল ইসলামের উপর খুশি হন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। পরে ২০০৮ সালের পুরো নির্বাচনের অলিখিত দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন ফখরুল ইসলামের উপর। যার ফলে ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দেশের তৃতীয় উপজেলা নির্বাচনে ৪ দলীয় জোটের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন করেন ফখরুল ইসলামকে মনোনয়ন দিয়ে নিজের হাতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন কার্যালয়ে ফখরুল ইসলামের মনোনয়ন জমা দেন।
কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল আওয়ামীলীগের পক্ষে গেলে সদ্য গঠিত আওয়ামী লীগের সরকারের প্রথম নির্বাচনে প্রতিকুল পরিবেশে উপজেলা নির্বাচনের মওদুদ আহমেদের বিশেষ অনুরোধে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করেন ফখরুল ইসলাম।
মওদুদ-ফখরুলের সেই সুসময় গুলোকে স্থানীয় কিছু নেতা নিজেদের সুবিদার জন্য দলের মাঠ কর্মীদের আশা-আখাক্ঙার বিপরীতে গিয়ে ফখরুল সাহেবকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ-এর প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিন্ত্র ফখরুল সাহেব কখনও বিএনপি বা মওদুদ বিরোধী অবস্থানে যাননি। তিনি দলের প্রয়োজনে দলের পাশে ছিলেন। সকল স্থানীয় নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের পাশে ছিলেন মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী বিরোধী শক্তির পাশে ছিলেন। কিন্তু তারপরও বিএনপির কিছু কর্মীবিচ্ছিন্ন নেতা দলের মাঠ নেতাদের আশা-আখাঙ্খার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জাতীয় পার্টির সাবেক এক এমপিকে নিয়ে ফখরুল সাহেবের প্রতিপক্ষ করতে ব্যস্ত। যিনি মুলত নোয়াখালী বিদ্ধেষী মানসিকতার মানুষ। যিনি দলের জেলা উপজেলা কমিটিকে পাশ কাটিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের নেতাদের কর্মসূচী গ্রহণে নির্দেশ দেন। যা রাজনৈতিক সৃষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না।
অথচ বিএনপির জন্য সবচেয়ে বড় ঝুকিটি নিলেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। ২০০৯ সালে প্রতিকুল পরিবেশে উপজেলা নির্বাচন করে। ২০০৯ সালে উপজেলা নির্বচনের সময়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ ছিলো বলে বিএনপির উপজেলা কয়েকজন নেতা বিএনপির মাঠ কর্মীদের প্রতিপক্ষ হয়ে সেই বারের উপজেলা নির্বাচনে দলের সাথে বেইমানি করেছে। তারপরও জনশ্রুতি আছে নির্বাচনে ফখরুল সাহেবই জিতেছেন। দিনের ১১টায় ভোট বর্জন করেও ১৫ কেন্দ্রে তিনিই সর্বোচ্চ ভোট পান। সামাজিক জীবনে জনাব ফখরুল ইসলাম একজন অতি পরিচিত সমাজসেবক। বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে তাহার সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে প্রতিবছর স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসার ৩০/৪০ জন ছাত্রকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদান করেন। সর্বশেষে যার পরিমান প্রায় দু’হাজারেরও বেশি হবে। জনাব ফখরুল ইসলাম ব্যবসায়ীক পুরিমন্ডলেও আলোচিত মুখ। দেশের সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীক সংগঠন রিহ্যাব ও ঢাকা চেম্বারের মেম্বার তিনি।
তিনি নোয়াখালী ফোরাম-ঢাকার সহসভাপতি, কোম্পানীগঞ্জ যুবকল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি ও ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি, ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট সোসাইটির সভাপতি। এছাড়া মাওলানা শরাফত উল্যাহ ট্রাস্টের পরিচালনা গভর্ণিং বডির ট্রাস্টি। একজন সমাজকর্মী এবং রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দলমত নির্বিশেষে সবার সাথে কাজ করে যেতে চান ফখরুল ইসলাম। তিনি দৃঢ়ভাবে বলতে চান, ব্যবসার বাহিরে যে টুকু সময় পেয়েছি এবং আমার সামর্থ্য অনুযায়ী সামাজিক কর্মকান্ড অতীতের মতো বর্তমানেও চালাচ্ছি ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। এতে কেউ ঈর্ষান্বিত হলে তা আমার ভাববার বিষয় নয়।
ফখরুল ইসলাম বলেন, আমি সেই নব্বই’র দশক থেকে আজ পর্যন্ত নিজের ব্যবসার পাশাপাশি একজন সমাজকর্মী হিসেবে এলাকায় নানাবিধ সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছি। এসব কর্মকান্ড করতে গিয়ে যেহেতু রাজনৈতিক আবহের প্রয়োজন হয়, তাই আমি দীর্ঘদিন থেকে আপনাদের সাথে নিয়ে রাজনীতিতেও যুক্ত আছি।
আগামীতেও আমি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী এবং দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আলোকবর্তিকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ে কাজ করতে চায়। আমি মনে করি সমাজ পরিবর্তন ব্যক্তিগত উদ্যোগের সাথে ক্ষমতা যুক্ত হলে অনেক বড় কিছু করা যায়। সব সময় মানুষের পাশে থাকা যায়।
আমরা নোয়াখালী মেইল পরিবার থেকে আপনার আগামীর সফলতা কামনা করছি।
আপনাদেরকে ধন্যবাদ সত্যের পক্ষে কাজ করার জন্য।
আসসালামু আলাইকুম।

ফখরুল ইসলাম-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, পারিবারিক নাম ফারুক। পিতা আহাম্মদ উল্যাহ, মাতা রাজিয়া খাতুন। ১৯৬০ সালের ১ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের ৭ নং মুছাপুর ইউনিয়নের অজি উল্যাহ মাস্টার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। চর বড়ধলী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শুরু করেন। পরে বামনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বামনী স্কুলে পড়ার সময়ে রাজনীতিতে নাম লেখানমোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। ক্লাশের ফাঁকে ও আগে পরে জাসদ ছাত্রলীগের রাজনৈতিক আলোচনায় অংশ নিতেন। পরে জাসদের ও ছাত্রলীগের মিছিল মিটিং এ সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালে মুজিব মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কলেজে এসেও জাসদ ঘরণার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। পরে ১৯৭৮ সালে স্বাধীনতার আগে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রসংঘ নতুন নামে ছাত্রশিবির হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হলে মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ছাত্রশিবিরে যোগ দেন এবং মুজিব মহাবিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।
কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলের প্রভাবশালী পরিবার শেখ আহম্মদ মিয়া চেয়ারম্যান ও মাহফুজ মিয়া চেয়ারম্যান পরিবারের উত্তরসূরি হিসেবে রাজনীতিতেও চমক দেখান কিশোর ফখরুল।
১৯৭৭ সালে মুজিব কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে চট্টগ্রাম এম এইচ কলেজে ভর্তি হন। পরে ১৯৭৯ সালে অবারো মুজিব কলেজে ভর্তি হয়ে নির্বাচন করেন।
কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতিতে স্বাধীনতার পর প্রথম ঝলক দেখান ১৯৭৯ সালে মুজিব কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তার নেতৃত্বের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরকে রুখতে যুদ্ধত্তোর বাংলাদেশের রাজনীতির চরম প্রতিদ্বন্ধি রাজনৈতিক দল জাসদ ছাত্রলীগ ও মুজিববাদী ছাত্রলীগ এবং ছাত্র ইউনিয়ন যৌথ প্যানেল দিয়ে ছাত্রশিবিরের ভিপি পদপ্রার্থী জনাব ফখরুল ইসলামকে মাত্র ১ ভোটে পরাজিত করে।
ছাত্রসংসদ নির্বাচনে কাঙ্খিত ফলাফল না পেয়ে পরে আবারো চট্টগ্রাম এম এইচ কলেজে ডিগ্রি সেশন ঠিক রেখে ১৯৮০ সালে এম এইচ কলেজ থেকে ডিগ্রী পাস করেন। পরে ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাজনীতি নয়। এই এক দশক নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাকুরীতে ব্যস্ত সময় পার করেন। এরপর ১৯৯১ সালে হাউজিং ও রেডিমেট গার্মেন্টস ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন।
ব্যক্তিজীবনে জনাব ফখরুল ইসলাম একজন সফল ব্যবসায়ী। ১৯৯১ সালে চাকুরী ছেড়ে গার্মেন্টস হাউজিং, এপার্টমেন্ট ব্যবসা শুরু করেন। এই দীর্ঘ সময় কোন রাজনৈতিক দলে নাম লেখাননি তবে জামায়াত ও বিএনপিকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু কখনও জামায়ত বা বিএপির সদস্যও হননি।
১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পচন্দের মানুষ ও রাজনৈতিক আদর্শিক নেতা আবদুস জাহের মোহাম্মদ আবু নাছের নির্বাচন করলে ফখরুল ইসলাম কোম্পানীগঞ্জের নাছের সাহেবের নির্বাচন দেখভালের দায়িত্ব নেন।
পরে ২০০১ সালে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ-এর বিশেষ অনুরোধে তার নির্বাচনী প্রচারণায় বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিাণাঞ্চল তথা মুছাপুর, রামপুর, ছরফকিরা ও চর এলাহী এই চার ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা ও অর্থনৈতিক দায়িত্ব নেন। ২০০১ সালে নোয়াখালী-৫ আসনের ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ-এর বিশাল বিজয়ের অভ্যন্তরিন কারণই ছিলো ফখরুল ইসলাম।

জনাব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ফারুক ও তার সহধর্মীনীসহ দেশ বিদেশে অবস্থান সময়ের কিছু ছবি।

২০০১ সালের নির্বাচনে বিশাল বিজয়ে ফখরুল ইসলামের উপর খুশি হন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ পরে ২০০৮ সালের পুরো নির্বাচনের অলিখিত দায়িত্বই ছিলো ফখরুলের উপর। যার ফলে ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দেশের তৃতীয় উপজেলা নির্বাচনে ৪ দলীয় জোটের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন করেন ফখরুল ইসলাম।
কিন্তু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ ছিলো বলে বিএনপির মাঠ কর্মীরা সেবারের উপজেলা নির্বাচনে দলের সাথে বেইমানি করেছে। তারপরও জনশ্রুতি আছে নির্বাচনে তিনিই জিতেছেন। দিনের ১১টায় ভোট বর্জন করেও ১৫ কেন্দ্রে তিনিই সর্বোচ্চ ভোট পান। সামাজিক জীবনে জনাব ফখরুল ইসলাম একজন সমাজসেবক। বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে তাহার সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে প্রতিবছর স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসার ৩০/৪০ জন ছাত্রকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদান করেন। সর্বশেষে যার পরিমান প্রায় দু’হাজার। তিনি রিহ্যাব, ঢাকা চেম্বারের মেম্বার। নোয়াখালী ফোরাম-ঢাকার সহসভাপতি, কোম্পানীগঞ্জ যুবকল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি ও ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি, ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট সোসাইটির সভাপতি। এছাড়া মাওলানা শরাফত উল্যাহ ট্রাস্টের পরিচালনা গভর্ণিং বডির ট্রাস্টি মেম্বার।
ফখরুল ইসলাম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নোয়াখালী-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন। কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফখরুল ইসলামের আর্থিক অনুদান রয়েছে। ফলে একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে ফখরুল ইসলাম এলাকায় বেশ সমাদৃত। জনাব ফখরুল ইসলাম ১৯৭৮ সালে চরকাঁকড়া নিবাসী জোসনা আরা বেগমকে বিয়ে করেন এবং তাদের ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে। একমাত্র ছেলে আবদুস জাহের মোহাম্মদ আবু নাছের সাহেবের মেয়ের জামাতা। ৪ মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে ডাক্তার। সে আবার চান্দিনার সাবেক এমপি মরহুম অধ্যাপক আলী আশরাফ-এর পুত্র বধূ। ছোট মেয়ে ব্যারিস্টার। ৪ কন্যাকেই অতি উচ্চ পরিবারে পাত্রস্থ করেছেন। জনাব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম স্বামী, পিতা হিসেবে শতভাগ সফল একজন মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top