কোম্পানীগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে সবার চোখ চরফকিরা দিকে, চরফকিরায় শেষ হাসিটা কার হবে সেটা দেখার অপেক্ষায় ভোটাররা

131363643_1237616056632352_5509745471289003981_n.jpg

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি ।।

ইউপি নির্বাচনের ৭ম ধাপে কোম্পানীগঞ্জের ৮ ইউপি’র নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার। গত কয়েক দিন ধরে তীব্র শীত উপেক্ষা করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এ সময় কোম্পানীগঞ্জের বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। আওয়ামী লীগের মেয়র গ্রুপ ও বাদল গ্রুপ কার প্রধান্য বেশি এমন বাকযুদ্ধে মাঠের নেতারা। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সাধারণ মানুষের বিপদ আশঙ্কা ততই বাড়ছে। ইতোমধ্যে অনেককেই সম্ভাব্য বিরোধ এডাতে ঢাকা চট্টগ্রামে নিরাপদ আশ্রয়ে টলে গেছেন। চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যেন ভোট নয় যুদ্ধের দিন ঘনিয়ে আসছে। নোয়াখালীর ভিআইপি উপজেলা খ্যাত কোম্পানীগঞ্জের ৮ ইউনিয়নের সব কয়টি ইউনিয়নেরই চরফকিরায় শেষ হাসিটা কার হবে।

এবারের ইউপি নির্বাচনে দলীয় গ্রুিং ও আধিপত্ত বিস্তর নিয়ে বিরোধ চরমে। ফলে সব কয়টি কেন্দ্রই চরম ঝুকিতে বয়েছে বলে সাধারণ ভোটরদের মন্তব্য। স্থানীয় প্রশাসন বলছে ৭২ কেন্দ্রের মধ্যে বেশির কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। দলীয় প্রতীক ছাড়াই এবারে সরকারি দলের সেক্রেটারীর নিজ উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। প্রায় সকল প্রার্থীই সরকারী দলের। ৭/৮ জন রয়েছে জামায়াত-বিএনপির। এরমধ্যে বিএনপির ১ জন, ইসলামী আন্দোলনের ৩ জন ও যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতের ৩ জন ও সতন্ত্র ২/৩ ছাড়া ৩৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর অন্যরা সবাই আওয়ামী লীগের।

এদিকে দলের প্রতীক না থাকায় আওয়ামী লীগের সব প্রার্থীরা সবাই নিজেকে দলের প্রার্থী বলে দাবী করছে। তবে দলের ভিতরে গ্রুপিং থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোবল বেশি। তাদের ধারণা আওয়ামী লীগের ভোট ২ ভাগ হলে জামায়াত বিএনপির ভোটে তারা জয় নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারবে। মন্ত্রীর ভাই মেয়র সমর্র্থিত দলীয় প্রার্থীরা মুলত দলে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। মেয়র বিরোধী প্রার্থীরা অনেকটাই কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে মুছাপুরে মেয়র বিরোধী শিবির শক্ত অবস্থানে থাকলেও চরফকিরাতে মেয়র ও বাদল ২ জনই ধরা খেতে পারেন। তাদের দু’জনের প্রার্থীই জনগণের চাপে কোনঠাশা রয়েছে। চরফকিরাতে মেয়র ও বাদল গ্রুপকে কোনঠাশা করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রার্থী সলিম উল্যাহ টেলু। সলিম উল্যাহ টেলু সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের বড় ভাই।

সলিম উল্যাহ টেলু কখনও পদপদবী নিয়ে সক্রিয় রাজনীতি না করলে আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক দুঃসময়ে সামনের কাতারে ছিলো। সবসময় আওয়ামী লীগের জন্য ডাল হিসেবে ছিলো। সলিম উল্যাহ টেলু আওয়ামী লীগের মেয়র গ্রুপের সমর্থন পায়নি সে বাদলের ভাই। আর বাদল সলিম উল্যাহ টেলুর বিরোধীতা করছে স্থানীয় নেতৃত্ব হাতছাড়া হবে বলে। কারণ সলিম উল্যাহ টেলু কখনও জনপ্রতিনিধি না থাকলে এলাকার সকল বিচার টেলুকেই করতে। কারণ টেলুর বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর করার জুড়ি নেই। বিচারে সততা ও দক্ষতাই টেলু বড় শক্তি। টেলু শত্রুরা টেলুর বিচার আচারের প্রশংশা করে। তাই সলিম উল্যাহ টেলু চরফকিরার চেয়ারম্যান হলে চরফকিরার অনেক ধান্ধাবাজের ছুটির ঘন্টা বেজে যাবে।

একজন নিরলস সমাজসেবককে ভোট দিতে চরফকিরার ই্উপি নির্বাচনে ভোটাররা ইতোমধ্যে ভোট প্রদানের সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন। নিজের সুখে-দুঃকে পাশে পাবেন এমন প্রার্থীকে বেঁচে নিতে তাদের ভুল হবে না। সে ক্ষেত্রে মেয়র সমর্থিত প্রার্থী জামাল উদ্দিন লিটনকে চেয়ারম্যান ২ বার বানিয়েছেন বলে এবার পরিবর্তনের পক্ষে থাকতে চান। অন্যদিকে বাদল সমর্থিত প্রার্থী জায়দল হক কচি উদিয়মান নেতা সামনে সুযোগ পাবেন এমন চিন্তা থেকে সিরাজ মিয়ার ছেলে হিসেবে ও চরফকিরার মানুষের আপনজন টেলুর প্রতি গতবার সুবিচার করতে পারেনি বলে এবার কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। অবস্থা দৃষ্টি মনে হচ্ছে এ্বার শেষ হাসিটা মেয়র বা বাদলের হবে না শেষ হাসিটি হবে চরফকিরার জনতার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top