ফেনী নদীতে নির্মিত হচ্ছে মুহুরী সেতু সড়কে দুরত্ব কমবে ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুরবাসীর

image-307814.jpg

ফেনী নদীতে মুহুরী সেতু নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বৃহত্তর নোয়াখালী তথা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার সাথে সড়ক পদে চট্টগ্রাম জেলার সাথে যোগাযোগের সুবিধার্থে ফেনী নদীতে মুহুরী সেতু নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এতে করে সড়ক পথে ২ ঘণ্টা কম সময়ের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আসতে পারবেন সোনাপুর ও সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দারা।

সেতুটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহৃত হবে সোনাপুর (নোয়াখালী)-সোনাগাজী (ফেনী)-জোরারগঞ্জ (চট্টগ্রাম) সড়কটি। এছাড়া সোনাগাজী অর্থনৈতিক অঞ্চলে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে সেতুটি।

সওজ ফেনী জেলা সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়ক ও ফেনী জেলার সোনাগাজী সড়কের সাথে সংযোগ করে ফেনী নদীর উপর মুহুরী সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ। ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ করছে হাসান টেকনো বিল্ডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩৯১ মিটার, প্রস্থ ১০.২৫ মিটার, ৯টি স্প্যানে ৮টি পিলার, ২টি এ্যাপার্টমেন্ট হবে। মোট ফাইলিং হবে ১২৮টি। প্রতিটি ফাইলিং ৩৮ মিটার থেকে ৪৮ মিটার পর্যন্ত গভীর করা হয়েছে। ফাইলিং বাকী আছে মোট ১০টি। প্রতি স্প্যানে ৫টি করে মোট ৪৫টি গার্ডার বসানো হবে। সেতুর কাজ শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। ৫টি পিলারের বেজ ঢালাই হয়েছে। ইতমধ্যে ২টি গার্ডার তৈরী করা হয়েছে। সেতুর জন্য ইতমধ্যে দুই পাশে ৪শ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণ সময় ধরা হয়েছে ১৮ মাস।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) ফেনী জেলার উপ-সহকারি প্রকৌশলী এবং মুহুরী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মাজহারুল হক বলেন, মুহুরী সেতুটি নোয়াখালী জেলার সোনাপুর সড়ক ও ফেনী জেলার সোনাগাজী সড়ক এর সাথে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ সড়কের সংযুক্ত ঘটাবে। এতে করে সোনাপুর ও সোনাগাজীর বাসিন্দারা প্রায় ২ ঘণ্টা কম সময়ের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাতায়াত করতে পারবেন। সেতুটি নির্মাণ করা হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের সোনাগাজী অর্থনৈতিক অঞ্চলে যাতায়াত সুবিধা বাড়বে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি। মুহুরী সেতুর ফাইলিংয়ের কাজ ৯০% আর সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৪২%। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুটি দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে বলে আশা করা যায়।

মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সড়ক পথে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে মিরসরাই উপজেলা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্মাণাধীন মুহুরী সেতু ব্যবহারের মাধ্যমে নোয়াখালী, লক্ষীপুর জেলা ও ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দারা খুব দ্রুত সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আসতে পারবে। এতে করে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক ও দৈনন্দিন জীবনের ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top