কোম্পানীগঞ্জ প্রতিবেদক ।।
বসুরহাট পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী শংকরবংশী খালের পাড় দখল করে হোটেল সম্প্রসারন কাজ বন্ধ করতে মেয়রের নির্দেশের পরও কাজ অব্যাহত রাখায় হোটেল বন্ধ করে দিলেন বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রের মতে খালপাড়ের সরকারি জায়গা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও বসুরহাট পৌরসভার সমন্বয়ে দখল মুক্ত করার পর পুনরায় সরকারি জায়গা দখল করে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করায় এবং রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নামে সিন্ডিকেট করে খাবারের দাম স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি নেয়া, অপরিছন্ন থাকা ও হোটেলের সামনে রাস্তার উপর মটর সাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি রেখে রাস্তায় জ্যাম সৃষ্টি করায় “ফেন্সী হোটেল’-কে মেয়রের পক্ষ থেকে একাধিকবার সাবধান করা হয়েছে।
কিন্তু মেয়রের একাধিকবার সাবধান করার পরও পৌরসভার আদেশ তোয়াক্কা না করে উল্টো মেয়রকে অকথ্যভাষায় গালমন্ধ করায় পৌরসভার পক্ষ হতে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র নোয়াখালী মেইলকে জানান, পৌর এলাকার আইন শৃংঙ্খলা ও পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব পৌরসভার। কিছু সংবাদ মাধ্যম উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে ভুল তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। জনস্বার্থে পৌর প্রশাসনের স্বাভাবিক কার্যক্রম নিয়ে এজাতীয় বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করায় নিন্দাজ্ঞাপন করেন মেয়র।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার রাত সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রেস্তোরাঁ বন্ধের বিষয়ে মালিকপক্ষ তাঁর কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ না করলে তো কিছু করার নেই। তবে তিনি শুনেছেন, সরকারি জায়গা দখল করে রেস্তোরাঁ নির্মাণ করা হয়েছে।