সংসদে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করার দাবি

NM-24.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কোরআন ও ইসলাম হেফাজতের দায়িত্ব আল্লাহ নিজেই নিয়েছেন। কেয়ামত পর্যন্ত  কোরআন ও ইসলামের ক্ষতি কেউ করতে পারবে না। এরপরও কিছু রাজনৈতিক মোল্লারা দল ও গোষ্টির স্বার্থে কোরআন ও ইসলাম হেফাজতের নামে নিজেদের নামের আগে ভূয়া অনৈতিক এবং শিরক করার মতো পদবী যেমন আল্লামা, মাওলানা, শায়খুল হাদিছ, নানা বাহারি পদবী ব্যবহার করে ধর্ম অন্ধ মানুষকে ধোকা দিচ্ছে।

এই জাতীয় কিছু রাজনৈতিক মোল্লারা এবং কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ধর্মীয় মোল্লাদের সমর্থিত রাজনৈতিক সংগঠনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে হেফাজতে ইসলাম নামে  ইসলাম হেফাজতের কথা বলে সরকার ও ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড করছে। ইতোমধ্যে হেফাজতে ইসলামের মুখোশ দেশের মানুষের কাছে উম্মোচিত। ভিক্ষা করে চলা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাদের হিসাবে অর্ধশত কোটির ব্যাংক ব্যলেন্স জনগণের চেতনাকে নাড়া দিয়েছে।

অতি সম্প্রতি জাতীয় সংসদে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম। এ সময় তিনি সংগঠনটিকে স্বাধীনতাবিরোধী জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

সোমবার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ সেলিম এ দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সরকার পতন। স্বাধীনতা দিবস ওরা সহ্য করতে পারে না, ওদের বুকে ব্যথা লাগে। কথা নাই, বার্তা নাই বায়তুল মোকাররমে জমা হয়ে তাণ্ডব চালায়। সেখানে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে পারেন না। বায়তুল মোকাররমে এ ধরনের সমাবেশে নিষিদ্ধ করা উচিত। তারা বায়তুল মোকাররমকে প্ল্যাটফর্ম বানিয়েছে। এই হেফাজতে ইসলাম ছিল স্বাধীনতাবিরোধী নেজামে ইসলামি।’

শেখ সেলিম প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘মানুষ মেরে এরা ইসলামকে হেফাজত করবে কীভাবে? এটা জঙ্গি সংগঠন, এ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হোক। যেভাবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হয়েছে, সেভাবে এদের বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top