জামিন নিলেন বিএনপি নেতা শিল্পপতি ফখরুল ইসলাম এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারী সিকদারসহ ১৬ বিএনপি নেতা

120776102_333962714548293_8033259492173897740_o.jpg

জামিনের পর নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মওদুদ বিরোধী বিএনপি নেতারা।

বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।।

নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা শিল্পপতি ফখরুল ইসলাম এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির  সেক্রেটারী সিকদারসহ ১৬ নেতাকর্মী।

আজ রবিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে তাঁরা জামিন নিয়েছেন। ফখরুল ইসলামগংদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নোয়াখালী জেলা বারের সাবেক নেতা নোয়াখালী জেলা বিএনপির সহসভাপতি এডভোকেট জাকারিয়া।

জামিন প্রাপ্তরা হলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপি নেতা রামপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনসার উল্যাহ, রামপুর  বিএনপির সাবেক  সভাপতি কাজী একরাম, মিলন মেম্বার, জসীম উদ্দিন আলমগীর ও বিপ্লবসহ মামলার ১৬ জন বিবাদি  বিএনপি নেতাকর্মী।

উল্লেখ্য গত ২৪ সেপ্টেম্বর কোম্পানগঞ্জের মওদুদপন্থী বিএনপির অংশটি মওদুদ আহমদের বাড়িতে সভা করে বিএনপি নেতা ফখরুলের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার একদিন পরেই  এই শিল্পপতি ব্যবসায়ীর বসুরহাটের স্থানীয় বাসা ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের ঘটনায় ফখরুল ইসলামের বাসার কেয়ারটেকার বাদি হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে মওদুদপন্থীরাও ১৬ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা করে।

বাসা ভাঙচুরের মামলার পর বিদেশে অবস্থানরত বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলামকে ১ নাম্বার আসামী করে  মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে এই কাউন্টার মামলা করে। মামলাতে উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারীসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সকলকে আসামী করা হয়। তাদের অপরাধ তারা স্থানীয় রাজনীতিতে মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে গিয়ে ফখরুল ইসলামকে সমর্থন দিয়ছে।

তবে মওদুদপন্থীদের এ মামলায় ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা ফখরুল অনেক লাভবান হলেন। এতদিন জনবচ্ছিন্ন যেসব বিএনপি নেতারা বলতেন বিএনপি নেতা ফখরুলের সাথে স্থানীয় কোনো নেতা নেই। এখন মামলা করে তারাই প্রমাণ করে দিলো আসলে এলাকার সব নেতারাই ফখরুল অনুসারী।

মওদুদ অনুসারী এক নেতা বলেন ফখরুল অনুসারী বাদ দিলে আমাদের (মওদুদের ) পক্ষের নেতা খুজেই পাওয়া দায় হবে। পদ পদবীর কারনে অনেকেই প্রকাশ করে না। রাতে ঠিকই ফখরুলের কাছে মাপ চায়, আবার টাকাও আনে। ২/৪ জন বাদ দিলে এখন সবাই ফখরুলের লোক। এমনকি জেলাও ফখরুলের পক্ষেই রোল প্লে করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top