বিশেষ প্রতিবেদক।।
আগামী ডিসেম্বরে দেশে ২৩৪টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এমনটাই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। তবে এ বিয়য়ে আরো আলোচনা করবে কমিশন। এদিকে পৌর জনপ্রতিনিধিরা এই করোনার মধ্যে নির্বাচন না করতে অনুরোধ করেছে কমিশনকে। কিন্ত যতদূর জানা গেছে আইনী বাধ্যবাধকতায় নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে।
গণমাধ্যমে ২৩৪টি পৌরসভার নামসহ খবর প্রকাশের পর থেকে কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌরসভায় সরকার দল ও সংসদের সাবেক বিরোধী দল বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
বসুরহাট পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে আবারো লড়বেন বর্তমান মেয়র, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই এই মুহুর্তে কোম্পানীগঞ্জের সর্বাধিক জনপ্রিয় মানুষ আবদুল কাদের মির্জা। দলে তার প্রতিদ্বন্ধিও নেই।
অন্যদিকে সংসদের সাবেক বিরোধী দল বিএনপি দলীয় কোন্দলে জর্জরিত হলে প্রার্থীতা দিবেন পৌর নির্বাচনে। তবে তাদের মতামত বসুরহাট পৌর নির্বাচনে মির্জার বিকল্প প্রার্থী এ মুহুর্তে তাদের কাছে নেই। তারপরও নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দিবেন বিএনপি। সেক্ষেত্রে প্রার্থী কে হতে পারেন এমন প্রশ্নের উত্তরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা বলেন, সাবেক মেয়র কামাল চৌধুরী নিশ্চিত পরাজয়ের এ নির্বাচনে যাবেন না বলে দলকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে পৌরসভার বর্তমান সভাপতি (অননুমোদিত কমিটির) আবদুল মতিন লিটন প্রার্থী হতে পারেন।
বিএনপি মাঠ পর্যেয়ের বড় অংশের (ফখরুল সমর্থক) এক নেতা জানান, আমরা বসুরহাট পৌর নির্বাচনে জোরালোভাবে অংশ নিবো। আমাদের প্রার্থী এর আগেও বসুরহাট পৌর নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলো। আমাদের টার্গেট পৌর নির্বাচনে মওদুদ পন্থী প্রার্থীর ছেয়ে বেশি ভোট নিয়ে আমাদের অবস্থান জানান দেয়া। আমাদের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী প্রায় চুড়ান্ত। ইতিমধ্যে আমরা প্রার্থী ঠিক করেছি। তবে আরো একটু আলোচনার পর গণমাধ্যমে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবো। কৌশলগত কারণে এখনই এর চেয়ে বেশি বলেতে চাই না।
আমাদের প্রতিবেদক মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, আওয়ামী লীগের মেয়রের পাশাপাশি তাদের দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীও প্রায় চুড়ান্ত। তবে প্রত্যেক ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী থাকলেও অন্য আগ্রহী প্রার্থীদের বিষয়ে নমোনীয় থাকবে দল।
আমরা যতোদূর জেনেছি ১নং ওয়ার্ডে আবারো দলীয় প্রার্থী সোহাগ হাজারী, ২নং ওয়ার্ডে মোশাররেফ হোসেন নাহিদ, ৩নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ও বসুরহাট পেীর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী আবুল খায়ের, ৪নং ওয়ার্ডে পেীর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বসুরহাট ব্যবসায়ী সমিতি সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, ৫নং ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর কমল মজুমদার, ৬নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর শিমুল চৌধুরী, ৭নং ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর পৌর কৃষক লীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন কমিশনার বা বর্তমান কাউন্সিলর রাসেল, ৮নং ওয়ার্ডে পৌর যুব লীগ নেতা খাজা সাইফুদ্দিন রাজু বা বর্তমান কাউন্সিলর সায়দল হক বাবুল এবং ৯নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম ছিদ্দিক।
তবে দলের প্রয়োজনে ২/১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে পরিবর্তন আসতে পারে। এমনটিই জানিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী এক নেতা।