নোয়াখালীর দুদকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ঘুষ, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি প্রকাশ করায় ২ সাংবাদিককে হুমকি ও হয়রানি

Ayat-Noakhali-News-18-08-2020.jpg

এইচ.এম আয়াত উল্যা, নোয়াখালী থেকে ।।

নোয়াখালীর দুদকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ঘুষ, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি প্রকাশ করায় ২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে। সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনায়ন করায় স্থানীয় সাংবাদিক ও জনগণ দুদকের কর্মকান্ডে উদিগ্ন ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। অভিযোগ দায়ের করার পর হইতে দুদকের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা ঐ দুই সাংবাদিকের বেগমগঞ্জ অফিসে ও মোবাইল ফোনে হুমকি ধমক দিয়ে আসছেে। তারা বলে দুদকের বিরুদ্ধে কেন অনলাইন টিভিতে ও পত্র-প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হইয়াছে, তাই অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়।

নোয়াখালীতে দুদকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রহিয়াছে। ডিডি জাহাঙ্গীর আলাম একজন দুর্নীতিবাজ, মাদকাসক্ত, নারী লোভী ও বদ-মজোজী লোক বলে অভিযোগ রয়েেছে। তার সাথে তার স্ত্রীর বৈবাাহকি সর্ম্পক বলবৎ থাকাবস্থায় সে নোয়াখালীতে এসইে ১৫ বৎসর বয়সী এক নাবালকিা ময়েকেে বাল্য বিবাহ করে। মেয়েটি নাবালকিা হওয়ায় কাবিন রেজিষ্ট্রি হয়নি এবং মেয়ের বাবাকে ২০ লক্ষ টাকা দয়িে বিয়েতে বাধ্য করে। ঐ মেয়ের নাম শান্তা বগেম (১৫), পতিা-বাবর মিয়া, সাং-অশ্বদয়িা (সাত বাড়ি), থানা-সুধারাম, জেলা-নোয়াখালী।

তাছাড়া ডিডি জাহাঙ্গীর আলাম নোয়াখালী এসে নজিকেে সরকারী দলরে লোক বলে পরিচয় দেয়। নোয়াখালী শহরস্থ হরিনরায়ণপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তগিত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম এর পুরো বাড়ি ভাড়া নিয়ে এককভাবে বসবাস করে এবং সব রকম অসামাজকি কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। উক্ত বাসায় সন্ধ্যার পরে কছিু দালাল শ্রেনীর লোকজন নিয়ে নারী ও মদের আসর বসায়। যোগানদাতা হিসেবে তার অফিসরে এডি মশউির, সুবেল আহমদ, মেজবাহ ও সারওয়ার রয়েছে। তাদরে শেলটার দচ্ছিে স্থানীয় ৩/৪ জন সাংবাদকি, স্থানীয় কয়কেজন দালালসহ আরো অনেকে।

ডিডি জাহাঙ্গীর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর র্কাযালয়ের হুমকি দিয়ে সবাইকে চুপ করে রেখেছে। এছাড়া জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বে মশউির, সুবেল, সারওয়ার ও মেজবাহ একত্রিত হয়ে বিভিন্ন লোকরে নামে নিজেরা বেনামী দরখাস্ত দিয়ে উক্ত বেনামী দরখাস্ত তাদেরকে দখেয়িে হুমকি ধমক দিয়ে সরকারী র্কমচারী, ব্যবসায়ী ও ব্যাংক র্কমর্কতাদরে কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা ও ঘুষ আদায় করেছে। কিছুদিন র্পূবে দুদকরে ডিডি জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সুবেল সহ দুদকরে র্কমচারীরা বেগমগঞ্জ ফোর লেনের কাজ চলাকালীন সময়ে সখোনে গিয়ে চাঁদাবাজি করার কারণে শ্রমিকের হাতে গণপটিুনীর শিকার হয়। এছাড়া ফোর লেনের ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি করায় ঐ ঠিকাদার দুদকের হেড অফসিে অভিযোগ দিয়ে কোন প্রকার প্রতিকার পায় নাই বলে জানান।

এদিকে বিআরটিএ অফসিরে প্রধান সহকারী নজির আহমদ এর স্ত্রী খালদো আক্তার জানান “আমার স্বামী জীবিত থাকাকালীন দুদকের মশউির রহমান সাহবে ভয়ভীতি দেখাইয়া আমার স্বামীর নিকট হইতে ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নয়ে। পরর্বতীতে দুদকরে ডিডি জাহাঙ্গীর আলম, সুবেল, মশিউর পুনরায় আমার স্বামীকে হুমকি ধমক দয়িে তার কাছে আরো ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করলিে তিনি টাকা না দেওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করার কারণে আমার স্বামী নজির আহমদ গত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯  স্ট্রোক করে মারা যায়। ”র্বতমানে নজির আহমদের পরীবারের লোকজন মানবতের জীবন যাপন করছে। আরো জানা যায় নজির আহমদের মৃত্যুর জন্য ডিডি জাহাঙ্গীর, মশিউর ও সুবেলগণের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দুদকের চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন নজির আহমদের এর স্ত্রী খালদো আক্তার।

এছাড়াও  দুদকের উক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ বহুলোকজনকে চাকুরীর ভয়ভীতি ও হুমকি ধমক দিয়ে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছ মর্মে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। দুদকের দালাল মোছলেহ উদ্দিন ও রিয়াজের মাধ্যমে ডিবির ওসি মোঃ আতাউর রহমানরে কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা মশিউর ঘুষ গ্রহণ করে, নোয়াখালীর সুধারাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেনের কাছ থকেে ২০ লক্ষ টাকা, নোয়াখালীর কাষ্টমস অফিসের শরীফরে কাছ থকেে ২০ লক্ষ টাকা, ফেনীর কাউন্সিলর গিটারের কাছ থকেে ১০ লক্ষ টাকা, ফেনীর সোনাগাজীর মেয়র রফিকরে কাছ থকেে ১০ লক্ষ টাকা, জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার আফসার, রফিক ও ঠিকাদার রিয়াাজের কাছ থেকেও মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে, টাকা না দেওয়ায় তাহাদরে বরিুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রাইম হাসপাতালের মালিক ডাঃ মাহবুবের কাছ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা, নোয়াখালী ‍বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগের অনিয়ম হয়েছে দাবী করে ভিসিকে বিভিন্নভাবে হয়রানী এবং চাকুরীর ভয় দেখিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ আদায় করেছে বলে জানা যায়।

নোয়াখালী ডিসি অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ারুল হকের কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা। অফিস সহকারী আবদুল ওহাব থেকে ১০ লক্ষ টাকা, অফিস সহাকারী আবদুর রহিম থেকে ১২ লক্ষ টাকা, অফিস সহকারী আবু বক্কর ছিদ্দিক থেকে ৮ লক্ষ টাকা, তহশিলদার আজাদ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা, তহশিলদার মুকিত কামাল থেকে ২০ লক্ষ টাকা, তহশিলদার মশিউর রহমান থেকে ১০ লক্ষ টাকা, ব্যাংক কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান থেকে ৭ লক্ষ টাকা, ডিসি অফিসের সাবেক নাজির লুৎফুর রহমান থেকে ৭ লক্ষ টাকা, যা দুদক দালাল মোসলে উদ্দিন ও রিয়াজের মাধ্যমে গ্রহণ করে । মাইজদী রোডস্থ আমানিয়া হোটেল, পেট্টোল পাম্প, নোয়াখালী সুপার মার্কেটের ৫ম তলায় অবস্থিত ফুড জোন নামক চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট থেকেও বিরাট অংকের টাকা গ্রহনের অভিযোগ আছে।

ডিডি জাহাঙ্গীর ও এডি সুবেল আহম্মেদ নোয়াখালী বাখরাবাদ গ্যাস অফিসে গিয়ে স্টাফদেরকে হুমকি দিয়ে ও তাদের বাসায় গিয়ে হানা দিয়ে তাদের কাছ থেকে চাঁদার জন্য কঠিন ভাষায় হুমকি দিয়ে আসেন। বাখরাবাদ গ্যাস অফিসের কর্মচারীরা উপায়ান্তু না দেখে প্রত্যেকে ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৩০ লক্ষ টাকা ঘুষ হিসেবে দেয় দুদক কর্মকর্তাদেরকে। এডি সুবেল আহম্মেদ মাইজদী রেল ষ্টেশনে লীজধারী প্রায় ৩০ জনকে নোটিশ প্রদান করে এই বলে যে, তারা অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করেছে। ঘর নির্মাণ কারীরা কোন উপায়ান্তু না দেখে প্রত্যেকে ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৬০ লক্ষ টাকা ঘুষ দেয় সুবেলকে। ডিডি জাহাঙ্গীর ও এডি সুবেল এর করাল গ্রাস থেকে নিস্তার মেলেনি চিকিৎসক সমাজের। তাদের দূর্নীতির থাবা বসিয়েছে গুডহিল কমপ্লেক্স এর মালিক ডাঃ আবদুল হাই এর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ মজিবুল হকের কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের (সাবেক আবাসিক মেডিকেল অফিসার) ডাঃ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা, ডাঃ ফারহানা তারান্নুম খান থেকে ৭ লক্ষ টাকা, ডাঃ আবদুস সাত্তার ফরায়েজী বাবুল এর কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা, ডাঃ হরিভূষণ সরকারের কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা, নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ এর কাজের অনিয়ম দাবি করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ লক্ষ টাকা নেয়। ঘুষ লেন-দেনের চিত্র মাইজদী কোর্ট রেল ষ্টেশান ও নোয়াখালী সুপার মার্কেটের ৫ম তলায় অবস্থিত চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট এডি সুবেল মাইজদী কোর্ট ষ্টেশানের সেলুন দোকানদার অনীল এর কাছ থেকে চাঁদার থাবা বসিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকা আদায় করেন।

এছাড়া ডিডি জাহাঙ্গীর আলম নোয়াখালীতে আসার পর নোয়াখালী গ্যাস অফিস, এস.আর. অফিস, পাসপোর্ট অফিস, এলজিইডি অফিস, গণপূর্ত অফিস, বিভিন্ন অফিস সহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করিয়া আসছে। কিছুদিন আগে জজ কোর্ট এর পেশকারের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে ভাগাভাগি নিয়ে জজ কোর্ট এরিয়াতে আইনজীবি, স্টাফ ও বিচারপ্রার্থী জনগণের দ্বারা ডিডি জাহাঙ্গীর, সুবেল, সারওয়ার ও মেজবাহ গণপিটুনীর শিকার হয়। যাহা দুদকের হেড অফিস পর্যন্ত অবগত আছেন।

নোয়াখালী জজ কোর্টের এডভোকেট শাহজাহানকে দিয়ে এডি সুবেল একটি বেনামী দরখাস্ত করে তাহা তদন্ত করে এবং তাতে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে এডভোকেট শাহজাহানের সাথে বিরোধ জড়ায় এবং বিরোধের জের হিসেবে শাহজাহান ১০৬ এ অভিযোগ করলে এডি সুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে শাহজাহানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। এডি সুবেলের অত্যাচারে ও ক্ষমতার দাপটে ডাক্তারা ঠিকমত চেম্বারে বসতে পারে না। কিছুদিন আগে রয়েল হাসপাতালের এক মহিলা ডাক্তারকে এডি সুবেল আটক করে দুদক অফিসে নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে উচ্চতর মহলের চাপে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যে, ৩ জানুয়ারী ২০১৯ মাইজদী টাউন হল মোড়ে জেলা জজ কোর্টের নাজির মোহাম্মদ আলমগীর সাহেবকে দুদকের দালাল সাংবাদিক হানিফ (জীবিত থাকাকালীন) দেখিয়া ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের পাশে ডাকিয়া নিয়া বলে দুদকের ডিডি জাহাঙ্গীর আলম, এডি মশিউর রহমান তাহার অত্যন্ত ঘনিষ্ট লোক। ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিলে হানিফ দুদকের কর্মকর্তাদের সাথে ম্যানেজ করিয়া দিবে এবং দুদকের প্রাপ্ত নোটিশ প্রত্যাহার করিয়া নিবে। অন্যথায় দুদক নিজেরা বাদী হইয়া মামলা দিয়ে আলমগীর হোসেনকে হয়রানী করিবে। এ নিয়ে সাংবাদিক হানিফের বিরুদ্ধে জেলা জজ কোর্টের নাজির মোহাম্মদ আলমগীর সাহেব বাদী হইয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়ার ম্যাজিষ্ট্রেট, আমলী আদালত ১, নোয়াখালীতে পিটিশন মামলা নং-৫৭/২০১৯ইং দায়ের করে। যাহা সিআর ৩৭/২০১৯ইং বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। জেলা জজ কোর্টের নাজির মোহাম্মদ আলমগীর সাহেব ঘুষের টাকা না দেওয়ায় তাকে ৫ আগস্ট ২০১৯ দুদকের টিম তাকে ইয়ামাহ ফেজার ভারশন টু একটি মোটর সাইকেল-১৬০ সিসি, রং-নীল সহ গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আলমগীর সাহেবকে কোর্টে পাঠায়। আলমগীর সাহেব কোর্ট হইতে আসিয়া তাহার মোটর সাইকেল ফেরৎ চাহিলে তাকে আর ফেরৎ দেয় নাই। দুদক বলে যে, উক্ত মোটর সাইকেল জব্দ করা হইয়াছে। কিন্তু কোর্টে কোন জব্দ তালিকা না পাঠাইয়া উক্ত মোটর সাইকেল নিয়ে দুদকের সুবেল ও আশিক মাইজদী শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করিতে দেখা যায়। এভাবে সকল মহলে দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ভয় দেখিয়ে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভয় দেখিয়ে নিরীহ সরকারী কর্মচারী ও ব্যাংক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে মর্মে জানা যায় এবং চাঁদা আদায় করছে র্মমে গুঞ্জন রয়েছে।

এছাড়া ডিডি জাহাঙ্গীর আলম তার জন্য স্থানীয় দালালদের এডি সুবেল আহম্মেদের মাধ্যমে তার এক আত্মীয় ড্রাইভারের সহযোগিতায় ঢাকা থেকে মদ ও নারী নিয়া আসে। উক্ত গাড়ির মালিক ডিডি জাহাঙ্গীর আলম ও এডি সুবেল আহম্মেদ। তারা বেনামে গাড়ী ক্রয় করে এডি সুবেল আহম্মেদর এক আত্মীয়কে ড্রাইভার নিয়োগ দিয়ে সেটি ভাড়া দিয়ে টাকা আয় করে। যাহার গাড়ী নং-(ঢাকা মেট্টো-গ-১১৭৬২৭)। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ডিডি জাহাঙ্গীর আলম এর পুরান ঢাকার ওয়ারিতে (৬৪/এ, রোড নং-৬) একটি ৫ম তলা ভবন, মেরুল বাড্ডায় (রোড নং-১৮, ব্লক-বি, এফ-৫) একটি ফ্ল্যাট, ২২৫/বি শেওরাপাড়া (ডি-৩) একটি ফ্ল্যাট, সুবাস্তু নজর ভেলী (৫ম তলায় ২টি দোকান ঘর রয়েছে)। তার নিজ বাড়ী ভোলাতে ৫ম তলা বিশিষ্ট একটি ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। এডি মশিউর ঢাকার ডেমরাস্থ (২২৭/সি, শনির আখড়ায় ৬ষ্ঠ তলা ভবন, ১১৭ শান্তি নগর (ই-১) একটি ফ্ল্যাট, ৫৩/সি, মোহাম্মদপুরে জি-৫, আই-৩, দুটি ফ্ল্যাট। উত্তরায় রাজলক্ষ্মী মার্কেটে ২টি দোকান। ঢাকা-কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহন নামীয় ২টি বাস রয়েছে। নিজ বাড়িতে একটি বহুতল ভবন রয়েছে। এডি সুবেল চাকুরী ৩ বছর পূর্ণ করার পূর্বেই ৫০ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। কথিত আছে যে, ঢাকায় বাড়ী করার পর তিনি আর দুদকে চাকুরী করবেন না। তার নিজ অফিসের এক ষ্টাফ নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান। এডি সুবেল সম্প্রীতি নতুন বিয়ে করেছেন। বিয়ের ৩ মাসের মাথায় স্ত্রীর নামে ঢাকার বনশ্রীতে (রামপুরা ব্রীজের উল্টো দিকে (২৩/ডি, ইউনিট বি-২) ক্রয় করেছেন।

ডিডি জাহাঙ্গীর এতই বদ মেজাজী যে, তার নিজের ড্রাইভারকে গাড়ী চলন্ত অবস্থায় গাড়ী থেকে লাথি মেরে ফেলে দেন, ঢাকা যাওয়ার পথে লাকসামে তাকেসহ গাড়ী গাছের সঙ্গে মেরেছেন। উক্ত কর্মকর্তারা নোয়াখালী জেলায় বহু কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরী খেয়ে ফেলার হুমকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে। তাদের এই দূর্নীতির বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দরখাস্ত দাখিল করেছেন জেলার সুশীল সমাজ ও বিশিষ্টজনরা। তার মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী জেলার আইনজীবি সমিতির অন্যতম সিনিয়র আইনজীবি সমিতির বার বার নির্বাচিত সভাপতি এ্যাডভোকেট নাজমুল হক, এ্যাডভোকেট এ.বি.এম জাকারিয়া। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি মোজাম্মেল হক মিলনসহ অনেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top