তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন নমুনা পরীক্ষা, সর্বনিম্ন শনাক্ত, শনাক্তের হার ২৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, মৃত্যু ২২

N-Mail.jpg

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা

মেইল ডেস্ক ।।

গতকাল করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ হয় তিন হাজার ২১৩ জন। আগের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে তিন হাজার ৬৮৪টি। এরমধ্যে ৮৮৬ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮৬ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।  এর আগে গত ১০ মে ৮৮৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিলেন। এর পরে আর এই সংখ্যা আর নামেনি।

এদিকে গত ২৩ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ ছিল তিন হাজার ৪১৬। এরপর এই সংখ্যা আর এর নিচে নামেনি। ফলে তিন মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার হারও এটাই সবচেয়ে কম। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২২ জন। এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন তিন হাজার ১৫৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩১ শতাংশ। রবিবার (২ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। আজ ১৪৮তম দিন শনাক্তের।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ১১ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৫টি। এরমধ্যে মোট শনাক্ত হলেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৭৪৬ জন। এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৮৬ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মারা গেছেন ২০ জন, বাড়িতে মারা গেছেন দুই জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৭ জন, নারী পাঁচ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন দুই হাজার ৪৭৯ জন। শতাংশের হিসেবে যা ৭৮ দশমিক ৬০ শতাংশ। নারী ৬৭৫ জন। শতাংশের হিসাবে যা ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ।

বয়স বিভাজনে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে রয়েছেন ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আট জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৯ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুই জন।

এ পর্যন্ত বয়স বিভাজনে মৃত্যুর সংখ্যা এবং শতকরা হারে শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, যা শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ; ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩২ জন, যা এক দশমিক শূন্য এক শতাংশ; ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৭ জন, যা দুই দশমিক ৭৬ শতাংশ; ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২০৭ জন, যা ছয় দশমিক ৫৬ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪৩৯ জন, যা ১৩ দশমিক ৯২ শতাংশ; ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯০৯ জন, যা ২৮ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে এক হাজার ৪৬২ জন, যা ৪৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আট জন, চট্টগ্রাম এবং খুলনা বিভাগে তিন জন করে, রাজশাহী বিভাগে চার জন, বরিশাল বিভাগে দুই জন, রংপুর ও সিলেট বিভাগে একজন করে। বিভাগভিত্তিক মৃত্যু সংখ্যা এবং শতকরা হারে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে এক হাজার ৫০৫ জন, যা ৪৭ দশমিক ৭২ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৬৫ জন, যা ২৪ দশমিক ২৫ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে ১৯০ জন, যা ছয় দশমিক শূন্য ২ শতাংশ; খুলনা বিভাগে ২২৯ জন, যা সাত দশমিক ২৬ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে ১২৬ জন, যা তিন দশমিক ৯৯ শতাংশ; সিলেট বিভাগে ১৫২ জন, যা চার দশমিক ৮২ শতাংশ; রংপুর বিভাগে ১১৯ জন, যা তিন দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৮ জন, যা দুই দশমিক ১৬ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৩২৪ জন, ছাড়া পেয়েছেন ১৮৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৫১ হাজার ৮০৫ জন এবং ছাড়া পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৭২০ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৯৯২ জন, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন চার লাখ ৩৯ হাজার ১৩৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ৮৯৫ জন। এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন তিন লাখ ৮৩ হাজার ৭৬৪ জন। বর্তমানে ৫৫ হাজার ৩৬৯ জন কোয়ারেন্টিনে আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top