নাঙ্গলকোটে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার, আটক ২

11.-India.jpg

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসদরে গত সোমবার দিবাগত রাতে নবম শ্রেণির এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ৬ যুবক। ধর্ষণে অভিযুক্তরা হলো উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের মন্তলী গ্রামের মোখলেসুর রহমান মজুমদারের ছেলে সাইমুন (২০), একই ইউনিয়নের শ্যামিরখিল গ্রামের মৎস্য চাষি আব্দুল মান্নানের ছেলে ফয়সাল (২১), মৌকারা ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামের রাসেল (২০), পৌরসভার মান্দ্রা গ্রামের অহিদুর রহমান মোল্লার ছেলে রুবেল (২৩), জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে শিবলু (২২) ও মক্রপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে রাসেল (১৯)।

অভিযুক্তদের মধ্যে মক্রবপুর গ্রামের রাসেল ও জোড়পুকুরিয়া গ্রামের শিবলুকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষিতা কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা কিশোরী বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের শ্যামির খিল গ্রামের মৎস্য চাষি আব্দুল মান্নানের ছেলে ফয়সালের সাথে ধর্ষিতা কিশোরীর ৬ মাস যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এরই মাঝে তাদের সর্ম্পকের বিষয়টি ধর্ষিতার বড় বোন জানতে পেরে বোনকে শাসন করেন। এ নিয়ে বোনের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। ওই কিশোরী পরিবারের কাউকে না জানিয়ে প্রেমিক ফয়সালের সাথে গত বৃহস্পতিবার ফয়সালের চাচাত বোনের বাসায় চলে যায়। পরে ফয়সাল ওই মেয়েটিকে ঢাকায় রেখে আসে। পরে ঢাকা থেকে সে চৌদ্দগ্রাম বাজারে আসে। চৌদ্দগ্রাম থেকে ফয়সালের বন্ধু মান্দ্রার রুবেল ও তেতৈয়ার রাসেল ধর্ষিতা কিশোরীকে নিয়ে স্থানীয় বাঙ্গড্ডা বাজারের থ্রিস্টার রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। সেখানে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ৪ ধর্ষক পালিয়ে যায়। এ সময় শিবলু ও মক্রপুরের রাসেলকে আটক করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ।

নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আটককৃত দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top