নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়ন

106483124_2926824604109703_4594455676502407358_n.jpg

লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধি

লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার ৪ নং চর আলেকজান্ডার ইউনিয়ন।যা ছিলো রামগতি উপজেলার ভিতরে সবচেয়ে আলোচিত ইউনিয়ন, কিন্তু বর্তমানে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আলেকজান্ডার ইউনিয়ন। ইতিপূর্বে আলেকজান্ডার ইউনিয়ন থেকে চলে গেলো বাংলা বাজার ও বাংলা বাজারের প্রাচীন তম মসজিদ খানা এবং সাবেক আলেকজান্ডার ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান জনাব আহমদ উল্লাহ মজনু মাষ্টার এর বাড়ী এবং নতুন বাজার (মক্কল্লা) এবং কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন, চর গেছপার প্রাইমারী স্কুল, চর বালুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ও বানাত মাদ্রাসা, বর্তমানে নদীর মুখোমুখি আছে অনেক প্রতিষ্ঠান।

হয়তো আর কিছু দিনের জন্য আছে, যা প্রায় জুলাই মাসের ভিতরে নদীর গর্ভে চলে যাবে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্টান ও প্রাচীনতম বাজার, যেমন বালুর চর সিনিয়র মাদ্রাসা, উত্তর পূর্ব বালুর চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম বালুর চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর ডাক্তার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪ নং চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের বালুর চর বাসীর সবার প্রানের প্রতিষ্টান বালুর চর উচ্চ বিদ্যালয়, যা ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়, সে সময় ছিলো স্কুল টি জুনিয়র স্কুল, সে স্কুল থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেকে ঞ্জানের পাহাড় তৈরি করেছিলো, স্কুল টি ১৯৯৩ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তর হয়, বালুর চর বাসীর একটাই মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্টান বালুর চর উচ্চ বিদ্যালয়। যা কিনা কিছু দিন পরেই নদীর গর্ভে চলে যাবে, বালুর চরের প্রাচীন তম বাজার গুলো ও নদীর গর্ভে চলে যাবে, জনতা বাজার, মুনসির হাট সহ অনেক বাজার,এবং জনতা বাজারের মসজিদ টিও, ৪নং চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের ১ ৩ ৪ ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড নদীর গর্ভে চলে যাওয়ার শেষ পর্যায়। ১ নং ওয়ার্ডের সরকারি কলোনী নদীর গর্ভে এখন,যাদের কে সে সময় দেওয়া হয়েছিল থাকার জন্য কিন্তু তাদের বর্তমানে থাকার ব্যবস্থা নাই। তারা এখন প্রায়ই অসহায়।

বর্তমান বালুর চর বাসী খুবই অসহায় অবস্থায় আছে, তারা তাদের বাপ দাদার ভিটে মাটি রক্ষা করতে চায়। যাদের টাকা আছে তারা অন্য জায়গায় জমি কিনে স্থানান্তর হতে পারে কিন্তু যাদের টাকা পয়সা নাই তারা কিনতে পারে না জমি জমা। তারা খুব অসহয়ের ভিতরে জীবন অতিবাহিত করে। গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, বর্তমান সময়ে অতি মাত্রায় নদী ভাঙ্গতে আছে নদীর পাড়ে অনেক লোক দেখা গেলো যে তাদের ঝাল মেরামত করে, তাদের ভিতরে একজন হারুন মাঝী বলেন যে, বর্তমান সময়ে অতি মাত্রায় নদী ভাঙ্গে।বর্ষার শুরুতেই ভাঙ্গতে আছে।নদীর পাশে এক অসহায় মানুষ বলে উঠলো যে, দরকার হলে তারা অনশন করবে তার পরেও নদী ভাঙ্গা রোধ চায়। রামগতি কমলনগর ৪ নঃ আসনের এমপি মেজর অবঃ আবদুল মন্নান। ভোটের সময় আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তিনি হলে নদীর কাজ করবেন, কিন্তু বর্তমান সময়ে তাকে এলাকার মানুষ খোজ করে পাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top