ঐর্দিকা (৮) ও তার ছোট ভাই তূর্য (৪)।
নোয়াখালী প্রতিনিধি ।।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ভাইয়ের পর বোনেরও মৃত্যু হয়েছে। ১১ অক্টোবর শনিবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) এ ঘটনায় দগ্ধ ঐর্দিকা (৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ঐর্দিকার ছোট ভাই তূর্য (৪)।
১ অক্টোর রাত আটটার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মডার্ণ হাসপাতাল রোডের রাহাত মঞ্জিলের দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসায় গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণ থেকে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই দুই শিশুসহ একই পরিবারের চারজন কম–বেশি দগ্ধ হন।
নিহত দুই শিশুর বাবা কুমোদ চন্দ্র নাথ দগ্ধ দুই সন্তানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১ অক্টোবর রাত আটটার দিকে পরিবারের সবাই দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ বাসার ভেতর গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ হয় এবং মুহূর্তের মধ্যে ঘরের বিভিন্ন কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে তিনি ছাড়া তাঁর স্ত্রী সবিতা রানী নাথ, ছেলে–মেয়েসহ চারজন দগ্ধ হন।
কুমোদ চন্দ্র নাথ জানান, অগ্নিকাণ্ডে তাঁর মেয়ে ঐর্দিকা (৮) ও ছেলে তূর্যের (৪) শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আর তাঁরা ২০ শতাংশের নিচে দগ্ধ হয়েছিলেন। ঘটনার রাতেই দুই সন্তান ঐর্দিকা ও তূর্যকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তূর্যের অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তার মৃত্যু হয়। আর আজ বেলা সোয়া দুইটার দিকে মেয়ে ঐর্দিকাও একই হাসপাতালে আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।
জানা যায়, বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বাসার লোকজনের অসচেতনতার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে পরিবারের কারও কোনো অভিযোগ নেই।
