বিশেষ প্রতিবেদক ।।
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। নির্বাচন কমিশন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ ও ১২ সম্ভাব্য তারিখও চিন্তা করছে।
৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিবেচনার কারন শুক্র শনি ২ দিন ছুটির দিনের পর নির্বাচন হলে নির্বাচনী এলাকার বাহিরে যারা অবস্থান করেন তা বাড়িতে যেয়ে ভোট দিতে পারবে। আবার ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিবেচনার কারন নির্বাচনের দিন ও তার আগের কয়দিন নির্বাচন ডিউটি করে শুক্র শনি ২ দিন ছুটির দিনে বিশ্রামের কথা চিন্তা করে। সবমিলিয়ে নিশ্চিত নির্বচনের পথে দেশ। তারপরও নির্বাচন নিয়ে কেন শঙ্কা!
হ্যাঁ, তারপরও নির্বাচন বানচালের যড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি। দলটির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন বানচালে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। নির্বাচন পেছাতে পরিকল্পিতভাবে নানা ইস্যু সামনে আনছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের আগে সংস্কার বাস্তবায়ন, জুলাই সনদ কার্যকর, পিআর (আনুপাতিক হার) পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবিসহ একের পর এক ইস্যু তৈরি করছেন তারা। বাস্তবে এসব কোনটাই নির্বাচিত সরকার ছাড়া করা সম্ভব নয়।
বিএনপি’র নেতারা জানান, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও সংগঠন জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি তুলছে। তারা বলছেন, সংবিধান পরিবর্তনের প্রস্তাবও নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। পার্শ্ববর্তী একটি দেশও বাংলাদেশের নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে মনে করেন নেতারা। ওদিকে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আপত্তি না থাকলেও দৃশ্যমান বিচার এবং সংস্কারের ভিত্তিতে নির্বাচনের কথা বলেছে জামায়াত। অন্যদিকে জুলাই সনদ কার্যকর ও সংস্কার বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়েছে এনসিপি।
এসব কারণ নির্বাচন বিলম্ব করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে বিএনপি। এ ছাড়া পতিত আওয়ামী লীগ সরকার এবং তাদের দোসররাও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বলেও মনে করছেন বিএনপি নেতারা। গত সোমবার এক বক্তৃতায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, দেশ যাতে গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরিয়ে আসতে না পারে এবং মানুষের ভোটের অধিকার যাতে বাস্তবায়িত হতে না পারে- সেটাকে ভণ্ডুল করে দেয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ষড়যন্ত্র চলছে, ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং শিডিউল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মনে হচ্ছে, এই নির্বাচনকে নিয়েও অনেকেই নানা ধরনের কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে ষড়যন্ত্রের মধ্যে লিপ্ত আছে।