সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকারের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে: মির্জা ফখরুল

fakrul-NM24.jpg

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি, তারা এমন এমন কথা বলছে যে, প্রশ্ন এসে যায়, আমরা কি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম? মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আমাদের কোনো আপস নেই।

১৪ জুলাই সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গণফোরামের আয়োজনে দলের সভাপতি মোস্তফা মহসীন মন্টুর শোকসভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।

একটা চক্রান্ত চলছে, কীভাবে নির্বাচনটা পিছিয়ে দেওয়া যায়, এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তবে আমরা আশাবাদী, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে। যত কমিশন হচ্ছে সবটাতেই আমরা আমাদের প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি নিয়মিতভাবে। কিন্তু একটা মহল বলছে, বিএনপি নাকি সংস্কারের বিপক্ষে। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যে সফলতা পেয়েছি, তার মানে এই না– আমাদের ১৫ বছরের সংগ্রামকে একেবারে বাদ দিয়ে দিতে হবে।

মোস্তাফা মহসীন মন্টুর ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে অবদানের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, তার দুটি বিষয় আমার আজকে সবচেয়ে মনে পড়ে। সেটা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন। তাঁর এভাবে চলে যাওয়া আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছি তাদের জন্য বেদনার। তবে মন্টু যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা থেকে রাজনৈতিক নেতাকর্মীর অনেক কিছু শেখার আছে। মন্টুর আত্মা শান্তি পাবে যদি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে।

শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top