মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিএনপির এমপি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

555463851_1348328676922343_2381538515219742591_n.jpg

প্রকাশিত সংবাদে ফখরুল ইসলামের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের চ্যালেঞ্জ জানান এবং প্রমাণে ব্যর্থ হলে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য-প্রণোদিত সংবাদ পরিবেশের দায় স্বীকার করে পত্রিকার সম্পাদককে গণমাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ : বিএনপি’র নেতা ফখরুল ইসলাম।

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ।।

দৈনিক মানবজমিন ২৭ সেপ্টেম্বর পত্রিকার প্রথম পাতায় “১১ খলিফার নিয়ন্ত্রণে মির্জা কাদেরের রাজত্ব” শিরোনামের খবরে মেট্রো গ্রুপের কর্ণধার, এবং ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুইরেন্স কোং লিঃ এর চেয়ারম্যান মো.ফখরুল ইসলামকে জড়িয়ে এস আলমের অর্থ পাচারে সংশ্লিষ্টতাসহ যে সকল মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য- প্রণোদিত অভিযোগ সংবাদে উত্থাপন করা হয়েছে, আমারা উক্ত সংবাদে শেষ প্যারার তীব্র ও নিন্দা জানাই।

২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন,নোয়াখালী-৫ আসনে জাতীয়তাবাদ দল বিএনপি’স সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী ফখরুল ইসলাম বসুরহাট নিজ বাসভবনে।

বিএনপি’র নেতা ফখরুল ইসলাম দাবি করেন সাংবাদটি প্রকাশে সাংবাদিকতার নূন্যতম মানদণ্ড অনুসরণ করা হয় নাই বলে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়।

প্রথমে শিরোনামে বর্ণিত সংবাদে এস আলমের অর্থ প্রচারের সাথে সংশ্লিষ্টতার কেনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয় নাই। এছাড়া কেন তথ্য সূত্রের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তাও কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। ফলে সংবাদ প্রকাশ -প্রচার সাংবাদিকতার নূন্যতম এথিক্সও অনুসরণ করা হয়নি।

এছাড়াও সংবাদপর শিরোনামে “১১ খলিফার নিয়ন্ত্রণে মির্জা কাদের এর সম্রাজ্য” শিরোনামের সাথে সংবাদে সাথে মো.ফখরুল ইসলামের নূন্যতম যোগসূত্র কিংবা দায় উল্লেখ করা হয়নি। মির্জা কাদেরের কোন কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ফখরুল ইসলাম নিয়ন্ত্রণ করেছেন তা প্রকাশিত সংবাদের কোথাও প্রতিফলিত না হওয়ায় সংবাদটি রিপোর্টার শামীমুল হকের মন গড়া সংবাদ বলে স্পষ্টভাবে বুঝা যায়।

একটি মিথ্যা ও মনগড়া সংবাদ পরিবেশনকারী পত্রিকাটির সম্পাদককে মো. ফখরুল ইসলামের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সংবাদটির অভিযোগের সাথে মো. ফখরুল ইসলামের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানো হলো। প্রমাণ ব্যর্থ হলে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য-প্রণোদিত সংবাদ পরিবেশের দায় স্বীকার করে উক্ত পত্রিকার সম্পাদককে গণমাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করা হলো।

উল্লেখিত শিরোনামে সংবাদের অন্য অংশের ব্যাপারে আমাদের কোন মতামত নেই। আমরা আশা করবো সংবাদটি যে গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়েছে সেইরকম গুরুত্ব সহকারে প্রতিবাদ লিপিটিও ছাপা হবে।

তাছাড়াও দ্রুত ক্ষমা চেয়ে এই মিথ্যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের মাধ্যমে মো. ফখরুল ইসলামের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানের যে ক্ষতি সাধন করা হয়েছে তার প্রতিকার না হলে আমরা হলুদ সাংবাদিকতা, মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ পরিবেশের অপরাধে অভিযুক্ত করে পত্রিকাটির সম্পাদক-সহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।

মো.ফখরুল ইসলাম বলেন, এস আলমের অর্থ পাচারে সংশ্লিষ্টতাসহ যে সকল মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য- প্রণোদিত অভিযোগ মানবজমিনে প্রকাশিত সংবাদ প্রমাণ করতে পারলে আমি ফখরুল রাজনীতি ছেড়ে দিবো।

ফখরুল ইসলাম এর অনুসারী উপজেলা বিএনপির বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নোয়াখালী কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক আফতাব আহমেদ বাচ্চু বলেন, দৈনিক মানবজমিন ২৭ সেপ্টেম্বর পত্রিকার প্রথম পাতায় “১১ খলিফার নিয়ন্ত্রণে মির্জা কাদেরের রাজত্ব” আমাকে তিন নাম্বারে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য- প্রণোদিত অভিযোগ সংবাদে উত্থাপন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা বিএনপির বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব আহমেদ বাচ্চু, আনিসুল হক, উপজেলা বিএনপি সাবেক সদস্য একরামুল হক মিলন,জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজে গভনিং বোর্ডর সভাপতি আবুল বাসার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top