নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
রমজানের আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণাকে ইতিবাচক বললেও জুলাই সনদের ভিত্তিতে ভোট চায় জামায়াত। দলটি জুলাই ঘোষণাপত্রকে অপূর্ণাঙ্গ বলেও আখ্যা দিয়েছে। ঘোষণাপত্র সংশোধন ও কার্যকরের দাবি জানিয়েছে।
গতকাল ৬ আগস্ট রাজধানীর মগবাজার আল-ফালাহ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। গত এপ্রিলে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছিলেন, ২০২৬ সালের রমজান তথা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হওয়া উচিত। এ বক্তব্যের উদাহরণ দিয়ে ডা. তাহের বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা একইভাবে ঘোষণা দিয়েছেন, যা ইতিবাচক।
তবে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং অভ্যুত্থানের ফসল রক্ষায় নির্বাচন অবশ্যই জুলাই সনদের ভিত্তিতে হতে হবে। জুলাই ঘোষণা ও সনদকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টনের (পিআর) দাবিতে আন্দোলন করার কথা জানান নায়েবে আমির।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি করে ডা. তাহের বলেছেন, পুরোনো নির্বাচন পদ্ধতি এখনকার বাস্তবতায় কার্যকর নয়। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।
জুলাই ঘোষণার সমালোচনা করে জামায়াত বলেছে, বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে ঘোষণাপত্র দেওয়া হয়েছে। এতে আলেম-ওলামাদের আন্দোলন ও অবদানের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর নেই, যা ইসলামী ঘরানার রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। জুলাই অভ্যুত্থানের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ৯ দফা, যা এক দফায় রূপান্তরিত হয়েছিল। সে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘোষণাপত্রের বাস্তবায়ন কৌশল অস্পষ্ট অভিযোগ করে ডা. তাহের বলেন, উপনিবেশবিরোধী লড়াইয়ের কথা থাকলেও সাতচল্লিশ নেই। জামায়াত মনে করে, ঘোষণাপত্রে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ডা. তাহের বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রধান আকাঙ্ক্ষা রাষ্ট্র সংস্কার। ঐকমত্য কমিশনে ১৯টি বিষয়ে ঐকমত্যের মাধ্যমে জুলাই সনদ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অথচ প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত ঘোষণাপত্রে তা নেই!
তপশিল ঘোষণার আগে সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ডা. তাহের। সনদ ছাড়া জামায়াত নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, জামায়াত নির্বাচনমুখী দল।