ফেনী প্রতিনিধি :।।
জুলাই বিপ্লবের বাংলার বৈষম্যের ঠাঁই নাই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পঞ্চম শ্রেণি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার প্রতিবাদে ২৯ জুলাই মঙ্গলবার ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয় ।
উপস্থিত শিক্ষকেরা সংবিধানের আলোকে শিক্ষা ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। এই সিদ্ধান্ত যদি বাতিল না করা হয়, তাহলে আমরা উচ্চ আদালতের আশ্রয়সহ প্রয়োজনীয় সব আইনি ও সামাজিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
২০২৫ সালের সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা স্মারকলিপি প্রদানে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন দাগনভূঞা উপজেলার শাখার সভাপতি ইউছুফ মিয়াজি, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সহসভাপতি মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন ও আলা উদ্দিন, সমমনা কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণধন পাল, দাগনভূঞা বালিকা কে.জি শাখার শিক্ষক মতিলাল দাস, রঘুনাথপুর মডার্ন কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, এম জি বি কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন, চাইল্ড কেয়ার মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, লাইফ শাইন কিন্ডার গার্টেনের প্রধান শিক্ষক মো.আমির হোসেন, বেতুয়া আইডিয়ালের প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা আক্তার, ফুলকলি একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. বেলাল হোসেন, কসমিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামরুল হোসেন, ফুলকলি মডেল কিন্ডার গার্টেনের প্রধান শিক্ষক মাইদুল হক ফরাদ, বরইয়া আদর্শ একাডেমীর শিক্ষক এ এস এম মনিরুল হাসান, মোল্লাঘাটা একাডেমীর শিক্ষক শাহ জামাল, সিন্দুরপুর মডেল স্কুলের শিক্ষক মনিরুল ইসলাম, দারুস সালাম প্রি-ক্যাডেট কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষিকা নাছরিন আক্তার, ট্রাস্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রুহুল আমিন , মাহমুদুল হক কিন্ডারগার্ডেনের শিক্ষক মোহাম্মদ করিম, মর্নিং রোজ কিন্ডারগার্ডেনের শিক্ষক মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন, এ ওয়াই বি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক আকাশ ভৌমিক, আল-হেরা কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার, শাইখ বিআর খান কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষিক আব্দুল করিম প্রমুখ।
স্মারক লিপি প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষকরা বলেন, “যে সময়ে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদান করছে এবং হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, ঠিক সেই সময় এমন বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত আমাদের হতবাক করেছে।” যার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
তারা আরও বলেন, “সরকারের ভিতর গাপটি মেরে বসে থাকা কিছু অসাধু ব্যক্তি সরকারকে এরূপ সিদ্ধান্ত প্রলুব্দ করে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে যাহা বৈষম্যলমূলক আচরণ এর সামিল।