নগর প্রতিবেদক ।।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছ থেকে আদিষ্ট হয়ে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমের আহ্বানে নোয়াখালী-৫ আসনের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাবনাময় ২ প্রার্থীকে ( মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও বজলুল করীম চ্যেধুরী আবেদ) নিয়ে আলোচনায় বসার কথা জানালে, এক প্রার্থীর অনুরোধে আলোচনায় সংযুক্ত হন আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী হাসনা জসীমউদ্দিন মওদুদ।
বিশেষ সূত্রমতে জানা যায় এই বৈঠকের মূল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো ২টি। প্রথমত, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি কমিটি গঠন এবং দ্বিতীয়ত, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ ভোট করা।
প্রথম বিষয়ে আলোচনারত সকলে একমত হন যে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি কমিটিতে কোন চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ বা দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি, যাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে, তাদেরকে কোনো ধরনের পদ-পদবী দেওয়া হবে না।
ক্লিন ইমেজ অর্থাৎ যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, যারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত কেবল তাদেরকেই পদ-পদবীর জন্য বিবেচনা করা হবে। আলোচনারতদের মূল লক্ষ্য হলো উপজেলা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করা, এবং এর জন্য নেতৃত্বে থাকতে হবে সৎ, গ্রহণযোগ্য ও কর্মীবান্ধব নেতাদের।
এই ধরনের অবস্থান সাধারণত দলীয় শৃঙ্খলা ও জনসাধারণের আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নেওয়া হয়।
তবে,স্থানীয় নেতা কর্মীদের মন্তব্য বাস্তবে এই নীতি কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করবে ভবিষ্যতে দলীয় সিদ্ধান্ত ও প্রয়োগের ওপর।
তবে বিএনপির মাঠ কর্মীরা বলছে ৫ আগস্টের স্থানীয় দায়িত্বশীল নেতারা সবাই কমবেশি এই অভিযোগে অভিযুক্ত। দলের নেতারা হাট-ঘাট-বাজার টেন্ডার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছে। সেই সময়ে চলমান কমিটির নেতার সবাই মির্জা হওয়ার প্রতিযোগিতা করেছে। তাদের চাঁদাবাজিতে পুরো দল অভিযুক্ত হয়েছে। ৫আগস্টের পর প্রথম সারির নেতারাই অপকর্মে জড়িত ছিল। তাদের জন্য দলের ভাবমূর্তি তলানীতে পোঁছেছে বল মনে করে মাঠ পর্যায়ের সকল নেতা।
কর্মীরা বলছে কার বিরুদ্ধে অভিযোগ নাই এরকম দুই একজন দেখান, সব মাছ হাগু খায় পাঙ্গাশ মাছের নাম। ৫ তারিখের পর এক এক জন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে আমরা দলের খারাপ সময়ে হাল ধরেছি নিজের সর্বস্ব দিয়ে দলের জন্য কাজ করেছি আগামীতেও করবো-ইনশাআল্লাহ্ ।
বিএনপি আমাদের রক্তের শিরা উপশিরায় মিশে আছে তাই যারা দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তাদের কে কখনো চাড় দিবো না। দেখা হবে আবারও দলের কোন খারাপ সময়ে মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ্।
শামীম সাহেবের আহ্বানে এই বঠৈকের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের প্রার্থীতা নিয়ে। সেখানে উপস্থিত প্রার্থীরা একমত হয়েছেন দল যাকে মরনানয়ন দিবে অন্যরা দলের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করবেন।
তবে বৈঠকে শুধু তিন প্রার্থী কেন? বা আরো অন্য প্রার্থীরা নাই কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে শামীম সাহেব গণমাধ্যমকে জানান, এখন যাদের সাথে কথা হয়েছে নেতার নির্দেশে হয়েছে। পরে কোন নির্দেশ আসলে অন্যান্যদের সাথেও বৈঠক হতে পারে।
এই বৈঠকে শামীম সাহেবসহ নোয়াখালী জেলা বিএনপির টপ ৫ লিডার খ্যাত মাহবুব আলমগীর আলো, হারুনুর রশিদ আযাদ, এডভোকেট জাকারিয়া, গোলাম হায়দার বিএসসি ও এডভোকেট আবদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। আর নোয়াখালী-৫ আসনের প্রার্থীেদের মধ্যে ছিলেন হাসনা জসীম উদ্দীন মওদুদ, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ।
