ডাকসুর ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজে অনিয়মের পরও ভিসি কীভাবে বলেন যে সব ‘ঠিকঠাকমতো’ হয়েছে : ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না

557599480_1245772887576620_6603644731409558217_n.jpg

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের বক্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ডাকসুর ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজে অনিয়মের পরও ভিসি কীভাবে বলেন যে সব ‘ঠিকঠাকমতো’ হয়েছে।

২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, সব নিয়ম মেনে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে ব্যালট পেপার ছাপানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠান অনুমতি ছাড়া তাদের সমযোগ্য একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে সাবকন্ট্রাক্টে কাজ দিয়েছে। ওই সহযোগী প্রতিষ্ঠানটি নীলক্ষেত থেকে ব্যালট ছাপিয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমাদের মধ্যে সুরক্ষা পর্বে কোনো বিচ্যুতি হয়নি।’

দুবার ডাকসুর ভিপি থাকা সত্ত্বেও এভাবে মূল প্রেস বাদে বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যালট পেপার ছাপানোর নিয়ম সম্পর্কে তাঁর জানা নেই বলে জানান মান্না। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রেস আছে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। তাহলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার ছাপার কাজগুলো কোথা থেকে করে জানি না। আমার ধারণা, এই ধরনের কাজ সরকারি বা অনুমোদিত কোনো প্রেস থেকে করার কথা।’

মান্না বলেন, ‘যখন এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠল, তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথমে তা অস্বীকার করে।’ তিনি ডাকসু নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্য নিয়েও সমালোচনা করেন। কমিশনার বলেছিলেন, ‘নীলক্ষেত কোনো রেড এরিয়া, নাকি নিষিদ্ধ পল্লী যে ওখানে ছাপানো যাবে না।’

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ভাষাটা (ডাকসু নির্বাচন কমিশনারের) ভালো লাগেনি। নীলক্ষেতে ছাপানোর জন্য আমরাও কখনো কখনো প্রয়োজনে যেতাম। নীলক্ষেতে যা ছাপানো হয়, তার মধ্যে ভালো-মন্দ দুই রকমই আছে। এক নাম্বারও আছে, দুই নাম্বারও আছে।’

আজ উপাচার্যের সংবাদ সম্মেলনের পর মান্নার মনে প্রশ্ন তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘ভিসি বলেছেন যে, তারা দুটি প্রেসকে ছাপতে দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা কোনো অনুমতি ছাড়া সাব-কন্ট্রাক্টে নীলক্ষেতের কোনো প্রেসকে কাজটি দিয়েছে।’ মান্না এটিকে খুবই অদ্ভুত বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘সাধারণত কোনো কাজ সাব-কন্ট্রাক্টে দেওয়ার আগে মূল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।’

মান্না আরও বলেন, ‘কোনো তদন্ত ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কীভাবে বললেন যে, সংশ্লিষ্ট প্রেস সাব-কন্ট্রাক্ট দিয়েছে আমাদের জানায়নি। কিন্তু তাতে কোনো ভুল হয়নি, সবই ঠিকঠাক মতো হয়েছে। তিনি আবার যুক্তিও দেখাচ্ছেন! এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top