ফাইল ছবি।
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
ছোট ফেনী নদী ও বামনীয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অনেক বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে উপকূলীয় এলাকা । গত বছর মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ার কারণে নদীভাঙন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাদের অর্থলোলুপতাকে প্রাধান্য দিয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের প্রশ্রয়ে মুছাপুর রেগুলেটরের আশপাশ থেকে অবৈধভাবে কোটি কোটি সিএফটি বালু উত্তোলন করার ফলে মুছাপুর রেগুলেটর ও ক্লোজার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এলাকার বালুখোররা এখনো সক্রিয়। তবে রাজনৈতিক লেবেল পরিবর্তন হয়েছে। এখনো নাকি মাসে দেড় লক্ষ টাকার চুক্তিতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার বালু তুলছে বালুখোররা।
স্থানীয়দের মতে রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাদের অর্থলোলুপতাই কোম্পানীগঞ্জের আজকের এই অবস্থার জন্য দায়ী। আওয়ামী আমলে যারা বালুখোর ছিলো এখন এই আমলেও তারাই বালুখোর। শুধুমাত্র টাকার খাত আর রাজনৈতিক আশ্রয়দাতার পরিবর্তন হয়েছে।
নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উপকূলীয় এলাকা মুছাপুর ইউনিয়ন, চরএলাহী ইউনিয়ন, চরফকিরা, চরপার্বতী ও চরহাজারী ইউনিয়নের বেশকিছু অংশ। ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে সাইক্লোন শেল্টার, স্কুল-মাদ্রাসা, ঘরবাড়ি, মৎস্য ও পশু খামারসহ সবই।
এদিকে ভাঙন রোধকল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ঠিকাদারদের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলার কাজ চললেও অনিয়ম ও অতি নিম্নমানের কাজ ধীরগতিতে চলছে। এতে ভাঙন রোধে তেমন কোনো কার্যক্রম ব্যবস্থা না হলেও একদিকে ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পকেট ভারি হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগে জানান, নদী থেকে অতিমাত্রায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে কয়েকগুণ। গত এক বছরে ভাঙনকবলিত হয়েছে প্রায় ৯ কিলোমিটার এলাকা।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্তেও রেগুলেটর এলাকার আশপাশ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ক্লোজার ও রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ার বিষয়টির সত্যতার প্রমাণ মেলে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী বলেন, অতি দ্রুততম সময়ে মুছাপুর ক্লোজার ও রেগুলেটর পুনরায় নির্মাণ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।