বিশেষ প্রতিবেদক ।।
গতকাল ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই জাতীয় সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী’ দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তবে আমন্ত্রণ করেনি ২৪ বছরের জোটসঙ্গী বিএনপিকে। পিআরের পক্ষে থাকার পরও দলত্যাগী জামায়াতের সাবেক নেতাদের দল এবি পার্টিকেও আমন্ত্রণ করেনি তারা।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, পিআরের পক্ষে থাকা দলগুলোকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। পিআরের পক্ষে থাকার পরও দলত্যাগী এবি পার্টিকেও আমন্ত্রণ করেনি জামায়াত।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে বিএনপিকে আমন্ত্রণ না করার কারণ সম্পর্কে জামায়াতের এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, সমাবেশ করা হচ্ছে আনুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচনের দাবিতে। বিএনপি পিআরের ঘোরবিরোধী। তাই আমন্ত্রণ করা হয়নি। বিএনপিকে আমন্ত্রণ করলে তারা বিব্রত হতে হতো।
অন্যদিকে এবি পার্টিও পিআর চায়। তারপরও সমাবেশে আমন্ত্রণ না করার কারণ সম্পর্কে জামায়াতের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, মজিবুর রহমান মঞ্জুর প্রতি নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ, কারণ তিনি নিয়মিত জামায়াতের সমালোচনা করেন। তিনি সমাবেশে বক্তৃতা করলে কর্মীরা প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন। এ ঝুঁকির কারণে আমন্ত্রণ করা হয়নি এবি পার্টিকে।
১৯৯৯ সাল থেকে পরের দুই দল বিএনপি-জামায়াত কমবেশি দুই যুগ একজোট ছিল। একসঙ্গে সরকার পরিচালনাও করে। দেশের মিডিয়ার কাছে বিএনপি ও জামায়াতকে একমেরুর দলই মনে করে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সমঝোতার ভিত্তিতে জোট ভাঙে দুই দল। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন থেকেও সরে যায় জামায়াত। জুলাই অভ্যুত্থানে দল দুটি অংশ নিলেও ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রধান নির্বাচনি প্রতিযোগী হওয়ার চেষ্টা করছে জামায়াত।